২০১৮ সালে অমিত শাহকে ‘হত্যায় অভিযুক্ত’ বলেছিলেন। তার জেরে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি), ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ছেড়ে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরের এক বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। আদালত তাঁকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য হেফাজতেও নেয়। তারপর অবশ্য রাহুল জামিনের আবেদন করতেই, আদালত তা মঞ্জুর করে। ২০১৮ সালের কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের সময়, বেঙ্গালুরুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ওই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। ওই বছরই তাঁর বিরুদ্ধে মানবানির মামলা করেছিলেন বিজয় মিশ্র নামে জনৈক ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা। যার জেরে, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাটের এক আদালত এবং তাঁকে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল।
অভিযোগকারী বিজয় মিশ্র আদালতে জানান, ২০১৮ সালে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, বিজেপি সৎ এবং স্বচ্ছ্ব রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেয়। অথচ, দলের সভাপতি পদে রয়েছেন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, সেই সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদে ছিলেন অমিত শাহ। ২০০৫ সালে এক ভুয়ো এনকাউন্টারে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল অমিত শাহর বিরুদ্ধে। তবে ২০১৪ সালে, তিনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন, মুম্বইয়ের এক বিশেষ সিবিআই আদালত অমিত শাহকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। এই অবস্থায় দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিজেপির তৎকালীন সভাপতিকে খুনি বলাটা অযৌক্তিক এবং মানহানিকর বলে দাবি করেন। এর আগে, এই মামলার শুনানি ছিল ১৮ জানুয়ারি। কিন্তু, ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রার কর্মসূচি থাকায়, ওই দিন বিশেষ এমপি-এমএলএ আদালতে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। এদিকে, রাহুল গান্ধী জামিন পাওয়ার পর, তাঁর আইনজীবী বলেছেন, “রাহুল গান্ধী আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত তাঁকে ৩০-৪৫ মিনিটের জন্য হেফাজতে নেয়। এরপর তাঁর জামিনের আবেদন জমা দেওয়া হয় এবং আদালত তা গ্রহণ করে। শুনানির পরবর্তী তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি। তিনি নির্দোষ এবং তিনি কোনও মানহানিকর মন্তব্য করেননি।”
Be the first to comment