আধার বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্য়েই ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর চলছিলই। এবার পাল্টা আসরে নামলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিন পাতার চিঠি চলে গিয়েছে মোদীর কাছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজনৈতিক লাভের জন্য আধার ইস্যুতে আতঙ্ক তৈরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আধার কার্ডের পরিবর্তে সরকারের পক্ষ থেকে যে বিকল্প কার্ডের কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়েই। এ বিষয়ে একটি টুইটও করেছেন শুভেন্দু।
সেখানেই শুভেন্দু লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়ো খবর ছড়িয়ে করে রাজ্যের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। আধার কার্ডের বিকল্প হিসাবে একটি পরিচয়পত্র দেওয়ার আশ্বাসও সংবিধান বিরোধী। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বিষয়ে চিঠি লিখে জানিয়েছি।’ শুভেন্দুর এই পোস্ট সামনে আসতেই তা নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে মমতা আবার আগেই মোদীকে যে চিঠি লিখেছেন তাতে আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সাফ লিখেছেন, ‘UIDAI কোনও ফিল্ড এনকোয়ারি ছাড়া এই কাজ করেছে। রাজ্যকে না জানিয়েই আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেশনের নোটিস পাঠিয়েছে একাধিক বাড়িতে। আগাম না জানিয়ে কীভাবে এটা করা হতে পারে অবাক লাগছে।’ মমতার প্রশ্ন, লোকসভা ভোটের আগে ভয়ের আবহ তৈরি করতেই কী এটা করা হচ্ছে? এরপরই নবান্ন থেকে তাঁর গলায় আশ্বাসবাণী। বলতে শোনা যায়, “আধার কার্ড নিয়ে যারা ছেলেখেলা করছেন, মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন, আঁধার জগতে মানুষ তাদের ফেলবে। বিকল্প কার্ড দেব আমরা।” এরইমধ্য়ে পাল্টা শুভেন্দুর চিঠি যেতেই শোরগোল। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করার আশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায়। বলছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
Be the first to comment