ধামাখালি ঘাটের কাছে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশ কর্মীরা। সামনে পিছনে সংবাদমাধ্যমের বুম-ক্যামেরা। এরমধ্যেই এক পুলিশ কর্তাকে রীতিমতো রণংদেহি মূর্তিতে দেখা গেল। ‘আমি মাথায় পাগড়ি পরে আছি বলে আপনি আমাকে খালিস্তানি বলবেন?’ গর্জে উঠলেন ওই পুলিশ কর্তা। সামনে তখন বিজেপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল। তোপ দেগে চলেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তখনও ফুঁসছেন ওই পুলিশ কর্তা। ইতিমধ্য়েই এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখেছেন, ‘আজ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি নির্লজ্জভাবে সাংবিধানিক সীমানা পার করে ফেলেছে। বিজেপির মতে পাগড়ি পরা প্রত্যেক ব্যক্তিই খালিস্তানি।’ ঘটনা নিয়ে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, এটা শুনে আমরা স্তম্ভিত। এটা করা যায় না। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কোনও প্রমাণ থাকলে, তিনি ভিডিয়োটি প্রকাশ করুন। বাংলার পুলিশ তৃণমূলের ছদ্মবেশী ছাড়া আর কিছুই নয়। গর্জে উঠেছেন শুভেন্দুও। সাফ বলছেন, আমাদের কারও পক্ষ থেকে ওকে খালিস্তানি বলা হয়নি। উনি খালিস্তানি বলে চিৎকার করে নিজে ভাল পোস্ট পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালির মহিলাদের বহিরাগত বলেছেন। কিন্তু উনি নিজে যেতে পারেন না। এরপরই ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এডিজি সাউথ বেঙ্গলকে প্রমাণ করতে হবে কোন বিজেপি নেতা খালিস্তানি বলেছে। নাহলে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে ধামাখালি ঘাটের কাছে ব্যারিকেড করেছিল পুলিশ। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিজেপির প্রতিনিধিদের। সূত্রের খবর, সেখানেই ছিলেন ২০১৬ সালের আইপিএস জসপ্রিত সিং। বর্তমানে তিনি স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো পদে কাজ করছেন।
তবে এদিনের ঘটনার পিছনে বিজেপির নোংরা রাজনীতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন কংগ্ৰেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক্স হ্যান্ডেলে কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
Be the first to comment