দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে আটক অজিত মাইতি

Spread the love

দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে আটক অজিত মাইতি। সন্দেশখালির বেড়মজুরের নেতাকে আটক করা হয় রবিবার সন্ধ্যায়। সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে দোর দেওয়ার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর তাঁকে আটক করা হয়। এদিন গ্রামের মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অজিত মাইতিকে। গ্রামেরই একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু জনরোষ তাতে বিন্দুমাত্র কমেনি। এরইমধ্যে বিকাল গড়াতেই বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে হাজির হয় সেই বাড়ির সামনে। গ্রামে ছিলেন তিন পুলিশ কর্তা আইজি ট্রাফিক, ডিআইজি বারাসত, এসপি বসিরহাট। তাঁরা গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে রামপুর বাজার এলাকায় আসেন। ঠিক এরপরই অজিতকে বের করা হয়।

অজিত মাইতি যে বাড়িতে নিজেকে ‘বন্দি’ করেছিলেন, এদিন বিকাল থেকেই ঘিরে ফেলা হয় সেই বাড়ি। তাঁকে বের করে আনার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে পুলিশ তাঁকে বেরিয়ে আসতে বলে। কিন্তু তিনি বেরোতে রাজি ছিলেন না। এমনকী সেই বাড়ির মালিকও তাঁকে বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। অজিত মাইতির আশঙ্কা ছিল, বেরোলে গ্রামবাসীর রোষের মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শেখ শাহজাহান, তাঁর ভাই সিরাজের ঘনিষ্ঠ এই অজিত মাইতি। সে কারণে গ্রামে তাঁর দাপটও ছিল যথেষ্ট। অজিতের বিরুদ্ধে গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, জমি দখল, জমি কেড়ে নেওয়া, টাকা লুঠের। শনিবারই শাহজাহানের ভাই সিরাজ শেখকে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অজিত মাইতিকে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অজিতকেও সরানো হয় সেই পদ থেকে। তবে অজিতের ক্ষমতাবৃদ্ধির পরপর রবিবার সকাল থেকে ফুঁসছিলেন গ্রামের মহিলারা। অজিতকে ধরতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তাঁরা। অজিত বিপদ বুঝে নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করেন।

যদিও এদিনই অজিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “২০১৯ সালে বিজেপি করতাম। তখন শাসকদলের লোকজন মারধর করে শাসকদলে যোগদান করতে বাধ্য করে।” একইসঙ্গে এদিন দাবি করেন সিরাজের সঙ্গে থাকাই তাঁর জন্য কাল হল! দিনভর টান টান নাটকীয় পরিস্থিতি চলে গ্রামে। অবশেষে তাঁকে আটক করে নিয়ে মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*