ভারতের সংসদে রয়েছে দুটি কক্ষ। লোকসভা এবং রাজ্যসভা। এর মধ্যে লোকসভার প্রতিনিধিরা সরাসরি জনতার ভোটে জিতে আসেন। কিন্তু রাজ্যসভার প্রতিনিধিরা সরাসরি জনতার ভোটে নির্বাচিত হন না। তাঁরা নির্বাচিত হন বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়কদের ভোটে। সংসদের উচ্চকক্ষ বা রাজ্যসভার ৫৬টি আসনের জন্য নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছিল এ মাসের শুরুতে। ২৭ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার হবে সেই ভোট। বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়করা তাঁদের সংশ্লিষ্ট বিধানসভায় ভোট দিতে পারবেন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত। তার পর বিকাল ৫টা থেকে শুরু হবে সেই সব ভোটগণনা।
এ বছর রাজ্যসভায় বিজেপি এবং বিরোধীদের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু হাই প্রোফাইল মুখ। যেমন প্রাক্তন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধী প্রথম বার রাজ্যসভার প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও আছেন সেই তালিকায়। এ ছাড়াও অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতো মোদীর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মুখ রয়েছেন রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকায়। ৫৬টি আসনের মধ্যে উত্তর প্রদেশে রয়েছে ১০টি আসন। এ ছাড়া বিহার ও মহারাষ্ট্রের ৬টি করে, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্য প্রদেশে ৫টি করে, গুজরাট এবং কর্নাটকে ৪টি করে, ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং রাজস্থানে ৩টি করে, এবং ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে মঙ্গলবার। যদিও রাজ্যসভায় মোট সদস্য সংখ্যা ২৪৫। এর মধ্যে ২৩৩টি আসনে জন্য নির্বাচন হয়। ১২টি আসনে থাকেন মনোনীত সাংসদ।
বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়কদের ভোটে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সদস্য। অর্থাৎ কোনও বিধানসভায় যে দলের বিধায়ক সংখ্যা বেশি, তার জেতার সম্ভাবনা তত বেশি। ওপেন ব্যালট সিস্টেমে, সিঙ্গল ট্রান্সফারেবল ভোটের মাধ্যমে রাজ্যসভার সাংসদদের বেছে নেওয়া হয়। রাজ্যসভার সাংসদদের মেয়াদ ৬ বছর। তবে এক সঙ্গেই রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদের মেয়াদ শেষ হয় না। প্রতি ২ বছরে এক তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়। সেই মতো ভোটগ্রহণ হয়ে থাকে। যদিও ৫৬টি আসনের মধ্যে অনেক আসনেই প্রার্থীরা প্রথম পছন্দের ভোটে জিতে গিয়েছেন। কয়েকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। উত্তর প্রদেশ এবং কর্নাটক মিলিয়ে ৩টি আসনে ক্রস ভোটিংয়ের আশঙ্কায় বিরোধীরা। তবে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ প্রার্থী (তৃণমূলের ৪ এবং বিজেপি-র ১) ইতিমধ্যেই জয়ী ঘোষিত হয়েছেন।
Be the first to comment