আচরণবিধি না মানলে দলীয় প্রতীক ‘বাজেয়াপ্ত’, কড়া নির্দেশ কমিশনের

Spread the love

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। বঙ্গ ভোটে জিততে মরিয়া রাজনৈতিক দলগুলি রঙ্গমঞ্চের কলাকুশলীদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ইদানীং বেশ ট্রেন্ডিং। শাসক থেকে বিরোধী সব শিবিরেই পোড়খাওয়া নেতাদের উপেক্ষা করেই জনপ্রিয় মুখের দিকে ঝুঁকছে রাজনৈতিক দলগুলি।

এবার সেই তারকা প্রচারকদের জন্যই কড়া নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করলে দলীয় প্রতীক হারাতে হবে সেই তারকা প্রার্থীকে। নির্দেশিকায় নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারকা প্রচারকরা যদি কোড অফ কন্ডাক্টের ক্ষেত্রে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কমিশনের নোটিশগুলি নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে জারি করতে হবে। অতএব আচরণবিধি না মানলে সেই প্রার্থীদের বাদ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে দায়ী করা যুক্তিসঙ্গত এবং যুক্তিযুক্ত হবে।

একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি কোনও রাজনৈতিক দল তার তারকা প্রচারকদের দ্বারা নির্বচনী বিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্বাচনী প্রতীক ১৯৬৮-র ধারা ১৬এ-র অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার ফল হিসবে লের স্বীকৃতি বতিল হতে পারে। বাতিল হতে পারে দলের প্রতীকও।

প্রশ্ন উঠছে তাহলে এতোকিছুর পরও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে ফিল্মি সেলেবদের ভোট ময়দানে নামিয়ে দেওয়াটা কি স্রেফ চমক? অবশ্য বঙ্গ রাজনীতিতে তারাদের আগমনের প্রবণতা খুব একটা পুরনো নয়। টলিউড বা টেলি দুনিয়ার তারকাদের ক্রীড়া জগতের রথী মহারথীদের রাজনীতির ময়দানে আসার প্রবণতা শুরু হয়েছে ২০০৪ সাল থেকে। যদিও বাম আমলেও শিল্প সংস্কৃতি জগতের মানুষজন রাজনীতি করতেন। বাম আমলেও সেলিব্রিটিকে প্রার্থীও করেছে। সিপিএমের টিকিটে অনিল চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায় বা দেবদূত ঘোষদের ভোটে লড়তে দেখা গেছে। তবে এঁদের সকলেরই নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার আগে দীর্ঘিদিন রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা ছিল। তাই নির্বাচনর কোড অফ কন্ডাক্ট নিয়ে মোটামুটি সকলেই সচেতন থাকতেন।
মূলত তারকা প্রচারকদের দ্বারা ভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য প্রাথমিকভাবে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার এবং অননুমোদিত মিটিং সংক্রান্ত বিষয়কে বোঝায়। সেক্ষেত্রে প্রচারকারী দল এবং প্রার্থীকে নোটিশ জারি করা হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যখ্যা গৃহীত হয়। তবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে নির্বাচন কমিশন তারকা প্রচারকদের দলীয় প্রতীক প্রত্যাহার করতে পারে। এবিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির উপর প্রথমবারের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*