রোজদিন ডেস্ক :- আজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে একের পর এক প্রসঙ্গ তুলে ধরে কুণাল বোঝাতে চাইলেন, তৃণমূলের আর পাঁচজন নেতার মত তিনি নন।
কুণালের কথায়, “অনেক আগেই দলের সমস্ত পদ আমার সোশ্যাল সাইট থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তারপরে এদিন বহিষ্কারের চিঠি দিয়ে দল কী বোঝাতে চাইল? আমি তো বুঝতেই পারছি না কী অপরাধ করলাম? এবার কি আমাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে?”
তিনি যে বিশ্বাসঘাতক নন, তা বোঝাতে তিন দশক আগের পুরনো প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন কুণাল ঘোষ। সালটা ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। সেই সময় যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযানে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ওই প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, “এখন আমাকে নিয়ে অনেকের অনেক কিছু মনে হতে পারে, সেটা তাঁদের ব্যাপার। মনে রাখবেন, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই সেদিন নেত্রীর জীবন বিপন্ন হয়ে গিয়েছিল। আমি তখন আজকালের সাংবাদিক। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মমতাকে গাড়িতে তুলে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।”
আজ উত্তর কলকাতার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার অগ্নিবীণা নামক ক্লাবের তরফে আয়োজিত বুধবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এক মঞ্চে দেখা যায় তাপস-কুণালকে।
সেখানে বিজেপি প্রার্থী তাপসের প্রশংসা করে কুণাল বলেন, “তাপস রায় একজন দক্ষ সংগঠক এবং দায়িত্ববান জননেতা। মানুষের জন্য সবসময় ওর দরজা খোলা থাকে, উনি সর্বক্ষণ মানুষের আপদে বিপদে পাশে থাকেন।” কুণাল এও বলেন, “একটিও ছাপ্পা ভোট নয়, মানুষকে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে দিন।” এবং তাপসও বলেন, “কুণাল খুব ভাল ছেলে। ওকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি।”
এরপরই বিকেলে দলের তরফে বিবৃতি জারি করে কুণালকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণের কথা ঘোষণা করা হয়। বিবৃতিতে সই ছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের৷ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক থেকে ডেরেককে ‘কুইজ় মাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল৷
Be the first to comment