আইএসএল ট্রফি নিয়ে গেল মুম্বাই, স্বপ্ন ভাঙলো মোহনবাগানের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- মোহনবাগানের স্বপ্ন চুরমার, যুবভারতী থেকে দাপটে আইএসএল ট্রফি নিয়ে গেল মুম্বই। ময়দানে প্রবল জল্পনা
হাবাস ভাল করেই জানেন, সাফল্য পাচ্ছেন বলে কোনও কথা উঠছে না। কিন্তু কোনও কারণে ব্যর্থ হলে সমালোচনা হবে। তাই সাফল্যের মধ্যেই তিনি সরে দাঁড়াতে চান। যাতে সমর্থক থেকে শুরু করে কর্তারাও তাঁর কথা মনে রাখেন।
মোহনবাগানকে ট্রফি দিয়েই দায়িত্ব ছাড়বেন হাবাস! ময়দানে প্রবল জল্পনা
মোহনবাগান কোচ হাবাস সরতে পারেন কোচের পদ থেকে।
আনন্দের দিনেও বিদায়ের করুণ সুর বাজতে পারে! ময়দানে জোর জল্পনা, আন্তোনিও লোপেজ হাবাস মোহনবাগানের দায়িত্ব ছাড়তে পারেন দলকে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে। কারণ তিনি এই নিয়ে একমাত্র কোচ, যিনি তিনবার আইএসএল খেতাব জিতবেন। দু্‌বার তিনি জিতেছেন এটিকে মোহনবাগানের কোচ হিসেবে। এবার জিতলে জয়ের হ্যাটট্রিক হবে।

৬৬ বছরের স্প্যানিশ কোচের কাছে প্রমাণের কিছু নেই। বয়সও একটা বালাই, তাই তিনি এই হেভিওয়েট দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান, এমনটাই নাকি জানিয়ে রেখেছেন ক্লাব কর্তাদের। কয়েকদিন আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রায় তিনটি ম্যাচে হাবাস দলের ডাগআউটে ছিলেন না। প্রথমে জ্বর, তারপর গলায় ও বুকে ঠাণ্ডা থেকে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। স্পেনে হাবাসের পরিবারও চাইছে না দীর্ঘদিন তিনি দেশের বাইরে থাকুন এই বয়সে। তাই পরিবারের ইচ্ছেকে এই নামী কোচ মর্যাদা দিতে চাইছেন।

আইএসএল ফাইনালে মুম্বই ম্যাচে নামার আগে মোহনবাগান কোচ জানিয়ে রেখেছেন, এটি তাঁর কোচিং পর্বের শেষ ধাপ চলছে। তিনি এই মুহূর্তগুলি স্মৃতিতে সাজিয়ে রাখতে চান। কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই বয়সে এসে বড় দলের চাপ নিতে নারাজ।
নিজেদের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ মোহনবাগানের।

মোহনবাগান পারল না আইএসএলে পরপর দু’বার চ্যাম্পিয়ন হতে। তারা শনিবার যুবভারতীতে ফাইনাল ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে হারল ৩-১ গোলে। মুম্বইয়ের হয়ে গোল দেন দিয়াজ পেরেরা, বিপিন সিং এবং জাকুব ভোসটুজ।
মোহনবাগানের আক্রমণ বলতে একেবারেই হাতে গোনা। কেন তারা নিজেদের মাঠে সেরা ফুটবল উপহার দিল না, এই ভেবেই হতাশ ফ্যানরা। ম্যাচে মোট ৬৬ হাজার সবুজ মেরুন সমর্থকরা এসেছিলেন। তাঁরা ফিরলেন বিফল মনোরথ হয়ে। হাবাসের কৌশল ফাইনালেই খাটেনি। তিনি ভেবেছিলেন প্রথমে দেখে পরে আক্রমণে যাবেন। কিন্তু ফাইনালে এভাবে মুম্বইয়ের মতো বিপক্ষকে হালকা দিলে ডুবতেই হবে, সেটি বুঝে গেলেন স্প্যানিশ কোচ।

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলার ৪৩ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। তাদের হয়ে গোল দেন জেসন কামিন্স। পরে মুম্বইয়ের শোধ করেন দিয়াজ পেরেরা। পরে ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোল করে বিপিন সিং সমতা ফেরান। পরে মুম্বইয়ের হয়ে নির্ধারিত সময়ের ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোল জাকুবের। সব ক্ষেত্রেই মোহনবাগানের কমজোরি রক্ষণের জন্যই ডুবতে হল গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলকে। তাদের ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গেল। মুম্বই বরং তাদের মাঠে হারের বদলা নিল। এমনকী লিগ-শিল্ড হারের মধুর প্রতিশোধ নিল পিটার ক্রাতকির দল।

মোহনবাগান ম্যাচে প্রথম গোল খেয়ে গেল ম্যাচের ৫৩ মিনিটে। সেই দুর্বল ডিফেন্সের কারণেই বাগানকে গোল খেতে হয়েছে। মুম্বইয়ের পক্ষে গোল করলেন দিয়াজ পেরেরা। শুভাশিস বসু ভাল করে ক্লিয়ার করতে পারলে গোলটাই হয় না। তাঁর এই ধারাবাহিকতা সমস্যার জন্যই বারবার ডুবেছে দল।

ম্যাচের ৪৩ মিনিটে কামিন্স যে গোলটি করে দলকে এগিয়ে দিলেন, তারজন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট ছিল না। কারণ গত ম্যাচের মতোই দিমিত্রির দূরপাল্লার শট ফিরে এলে কামিন্স গোল করে ১-০ এগিয়ে দিতেন মোহনবাগানকে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*