রোজদিন ডেস্ক :- চতুর্থ দফা ভোটের আগে ফের বঙ্গে প্রচারের জন্য এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার বাংলার মোট তিনটি কেন্দ্রে সভা করেন তিনি।
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র, যেখানে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে ভাটপাড়ার জগদ্দলে সভা করতে আসেন।
তারপর পুড়শুরায় সভা করেন, যেখানে বিজেপি প্রার্থী অরূপ কান্তি দিগর এর সমর্থনে সভা করেন।
এবং হাওড়ায় দলীয় প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর সমর্থনে ও তিনি সভা করেন।
হাওড়ার সাঁকরাইলের সভা থেকে কংগ্রেস এবং বামেদের নিশানা করতেও ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি দাবি করেছেন, সবার থেকে বেশি ‘গন্ডগোল’ করে তৃণমূলই! মোদী আরো বলেন, ”কংগ্রেসের দুর্নীতি, পরিবারবাদ এবং তোষণের রাজনীতির সঙ্গে বামেদের অত্যাচার, সব মিলিয়ে খারাপ জিনিসগুলো এক জায়গায় জড়ো করলে তৈরি হয় তৃণমূল। ওই দলের নেতারদের কাজই হচ্ছে গন্ডগোল করা।”
মোদীর অভিযোগ, “প্রকাশ্যে তারা জমি দখল করে, গুণ্ডামি করে, কিন্তু সরকার তাদের কিছুই বলে না। “
এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনসভায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে ” ভাইপো মস্তান” বলে আক্রমণ করলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন , “বিজেপি ঘর ঘর জল দিয়েছে , আর তৃণমূল কংগ্রেস ঘর ঘর বোমা দিয়েছেন” বলে তিনি কটাক্ষ করেন।
মোদীর কথায়, “পূর্ব ভারতের গুরুত্ত্বপূর্ণ রাজ্য বাংলা। এখানে এবার অন্যরকম পরিস্থিতি। গতবারের সাফল্যকে ছাপিয়ে যাবে বিজেপি।” তাঁর বক্তব্যে ভারতের পূর্ব দিকের রাজ্য নিয়ে তিনি চিন্তিত। তাঁকে বলতে শোনা যায় স্বাধীনতার পর প্রায় ৫০ বছর কংগ্রেস সরকার চালিয়েছে, কিন্তু বাংলা পেয়েছে শুধু গরিবী। এখানকার বন্ধ কারখানা ভাজপা সরকার আবার শুরু করিয়েছে।
আজ সভা থেকে তৃণমূল এবং সিপিএমকে এক বন্ধনীতে রেখে তিনি তুলোধোনা করে ছাড়েন।মোদী বলেন, “‘বাংলায় রামনবমী পালন করতে দেয় না, রামের নাম নিতে দেয় না তৃণমূলের সরকার। কংগ্রেস আর বামফ্রন্টও রামনবমীর বিরুদ্ধে। এমন লোকজনের হাতে এই মহান দেশ তুলে দেওয়া যায় কি?” তাঁর বক্তব্যে বাংলায় তৃণমূল সরকার রামনবমী পালন করতে দেয় না। অপরদিকে কংগ্রেস ও বামেরা রাম মন্দির নিয়ে মোর্চা খুলে বসেছে।
মোদী বলেন , “তৃণমূল যে কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত দল, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ শিক্ষক দুর্নীতি। এরা সরকারে থেকে চাকরি বিক্রি করেছে! কত বড় দুর্নীতি ভাবুন।”
মোদীর দাবি, রাজ্যের মানুষের ভাল তাঁরা চায় না তৃণমূল, তাঁরা শুধু অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা করে দিতে চায়। অনুপ্রবেশকারীরা যাতে বাংলা কবজা করে ফেলতে পারে, এই চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল!
Be the first to comment