রোজদিন ডেস্ক :- সন্দেশখালিতে বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসের গ্রেফতারি মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য পুলিশ। ব্যক্তিগত বন্ডে সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রীর জামিন হল। এফআইআরে থাকা জামিন অযোগ্য ধারায় স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। ‘বাকি ধারার ক্ষেত্রে তদন্ত চলবে, পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে’বলে নির্দেশ আদালতের। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবে না পুলিশ’। আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত রাজ্যের। এমনই মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সম্পূর্ণ জামিন যোগ্য মামলায় কীভাবে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন তা নিয়ে বিস্মিত বিচারপতি। পুলিশ এমনকি নিম্ন আদালতের ভূমিকাতেও ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। এই নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের ব্যাখ্যা তলব করেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। তারপরই বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাসকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় যে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ তাও এদিন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
‘সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া উচিত’। লঘু ধারায় মামলার নোটিসের টোপ দিয়ে গ্রেফতার? প্রশ্ন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর । ‘মাম্পি দাসের বাড়িতে লাগানো নোটিসে জামিন অযোগ্য ধারা ছিল না’। ‘১৪ মে আত্মসমর্পণের সময় জামিন অযোগ্য ধারার কথা জানিয়ে গ্রেফতার’। হাইকোর্টে সওয়াল বিজেপি নেত্রীর আইনজীবীর । নিম্ন আদালতে কেস ডায়রিও পেশ করেনি পুলিশ, দাবি মাম্পি দাসের আইনজীবীর। গোটা ঘটনার পিছনে কার মাথা কাজ করছে? কার পরিকল্পনা? রাজ্যকে প্রশ্ন মাননীয় বিচারপতির। নিম্ন আদালতের বিচারক, পুলিশ কেউ কি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জানেন না? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মাননীয় বিচারপতি।
পিয়ালির বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫ সহ সমস্ত জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। প্রথমে তাঁকে সাক্ষী হিসেবে থানায় ডাকা হয়েছিল। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৯৫এ ধারায় পিয়ালির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় পুলিশ। পিয়ালি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণের আবেদন জানানো সত্বেও তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয় বসিরহাট আদালত। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মাম্পি।
পিয়ালির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদারের বক্তব্য ছিল, সম্পূর্ণ জামিনযোগ্য মামলা এটি। কিন্তু আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে উল্টে ১২ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাঁর মক্কেলকে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও অমান্য করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার, ওসি, তদন্তকারী অফিসার এমনকি নিম্ন আদালতের বিচারক সকলকেই হাইকোর্টে ডাকা উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
Be the first to comment