‘দেশ বিকশিত হলে পরবর্তী প্রজন্মেরও স্বপ্ন পূরণ হয়’ : লোকসভা অধিবেশন থেকে মোদী

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- চলতি মরশুমে লোকসভার অধিবেশন চলা কালীন আজ মঙ্গলবার প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা দেন। বিকেল ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ বলা শুরু করেন মোদী। নিট, অগ্নিবীর, মণিপুর-সহ নানা বিষয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে মঙ্গলবার মোদী কী বলেন, সে দিকে নজর ছিল শাসক-বিরোধী সব পক্ষের।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর হওয়া বিতর্কে অংশ নিয়ে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে নানা বিষয়ে বিঁধেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তার পরের দিনই লোকসভায় জবাবি ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মোদী বলা শুরু করতেই হই হট্টগোল শুরু হয় লোকসভায়। বিরোধীরা হইচই শুরু করেন। তার মধ্যেই বলতে শুরু করেন মোদী। স্পিকার ভর্ৎসনা করেন বিরোধীদের। স্পিকার বলেন, ‘‘বিরোধীদের এই আচরণ কাম্য নয়।সংসদে আপনারা যা করছেন ঠিক নয়। আপনাদের ৯০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছে। আপনারা বলেছেন। এখন বলতে দিন।’’
মোদী বলেন, “ভারতই প্রথম। সেই চেষ্টাই জারি। ১০ বছরে আমাদের সরকার ‘সবার সঙ্গে সবার বিকাশ’ নীতি মেনে চলেছে। সকলের কল্যাণ করেছে আমাদের সরকার।” তিনি আরো বলেন, ‘‘এই দেশ দীর্ঘ দিন তুষ্টিকরণের রাজনীতি দেখেছে। আমরা সন্তুষ্টিকরণের বিচার নিয়ে চলছি। তার লক্ষ্য সব যোজনার ফল যাতে সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছয়। সামাজিক ন্যায়ের ব্যবস্থা করেছি। তাই দেশের জনতা তৃতীয় বার আমাদের বসিয়ে মোহর লাগিয়েছে।’’

মোদী বলেন, ‘‘কয়েক জনের দুঃখ বুঝতে পারছি। দেশকে ভিতর থেকে ধ্বংস করছে দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। ’’
মোদীর ভাষণের সময় লাগাতার শ্লোগান বিরোধীদের। স্পিকার থামাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু হইহট্টগোল থামে না। তার মধ্যেই বলে চলেন মোদী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন ” ভারতের জনতা আমাদের তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরিয়েছে। মন থেকে, আদর্শ মেনে দেশের জনতা আমাদের ফিরিয়েছে। তাই নম্রতার সঙ্গে দেশের জনতার সেবা করার জন্য ফিরেছি। দেশের মানুষ আমাদের ভরসা করেছে।’’

মোদী আরো বলেন, ‘‘দেশ বিকশিত হলে পরবর্তী প্রজন্মেরও স্বপ্ন পূরণ হয়। সে জন্য শক্ত ভিত তৈরি হয়। দেশের নাগরিকের জীবনযাপন উন্নত হয়েছে। স্বাধীনতার পর দেশের নাগরিকেরা সাধারণ জিনিস থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। দুনিয়ায় বাকি দেশের সঙ্গে পাল্লা দেবে আমাদের দেশ। ’’
মোদী পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, দেশের যুবকেরা আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন। রেশন, গ্যাসের জন্য ঘুষ দিতে হত। নাগরিকেরা নিরাশ হয়ে ভাগ্যকে দোষ দিতেন।”
তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থায় দেশের মানুষ আমাদের নির্বাচন করেছিলেন।
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লুট করা হয়েছিল। কিন্তু আজ ভারতের ব্যাঙ্ক দুনিয়ার সব থেকে বড় লাভজনক ব্যাঙ্ক হয়েছে। ২০১৪-র আগে এমন একটা অবস্থা হয়েছিল, যখন ব্যাঙ্ককে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করা হত। ব্যাঙ্কের সম্পদ লুট করা হয়েছিল। এর পর গোটা বিশ্বে ভারতের ব্যাঙ্ক নিজের আসন ফিরে পায়। প্রচুর মুনাফা করে। ’’
৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে মুখ খুললেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান মাথায় নিয়ে নাচ। অথচ জম্মু ও কাশ্মীরে তা লাগু করার ক্ষমতা দেখাত না। সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হত। লোকে হতাশ হয়ে বলতেন, জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু হবে না। আজ ৩৭০ ধারা নেই। লোকতন্ত্র মজবুত হয়েছে। পাথর ছোড়া হয় না। ভারতের তিরঙ্গায় ভরসা করে সেখানকার মানুষ ভোট দিচ্ছেন।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*