পূর্ত বিভাগ বিগত দশ বছর ধরে যে সমস্ত সেতু এবং ফ্লাইওভারগুলি তৈরী করেছে বা করছে, সেখানে বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং (ক্র্যাশ বেরিয়ার) দিচ্ছে। এর ফলে নতুন সেতুর ভেঙে গাড়ি নিচে পড়ে যাওয়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে। কিন্তু পূর্ত বিভাগ মূলত ২০০৫ সালের আগে যে সমস্ত সেতু এবং ফ্লাইওভারগুলি নির্মাণ করেছিল সেখানে সেখানে এই ধরনের বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং (ক্র্যাশ বেরিয়ার) দেওয়া হত না। সেখানে সাধারনত ফুটপাত এবং ফুটপাতের ধারে রেলিং দেওয়া হত যাতে পথচলতি কোন মানুষ না পড়ে যায়। এই হ্যান্ড রেলিং গুলির চলন্ত গাড়ির গতি প্রতিহত করার ক্ষমতা খুবই কম। কিন্তু বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং (ক্র্যাশ বেরিয়ার) অনেক শক্তিশালী। যদি কোন গাড়ির চালক তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং এ (ক্র্যাশ বেরিয়ার) ধাক্কা মারে, তাহলে এটা অনেকাংশেই গতি প্রতিহিত করতে পারে। এটা খুবই শক্তপোক্ত কারিগরি বিদ্যার সুফল।
পূর্ত বিভাগ এই মর্মে একটি স্মারকলিপি প্রকাশ করেছে যাতে বলা হয়েছে, যে সেতুগুলিতে বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং (ক্র্যাশ বেরিয়ার) নেই সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সালের মধ্যে বিপর্যয় প্রতিবন্ধক রেলিং (ক্র্যাশ বেরিয়ার) নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
Be the first to comment