সংসদে বাজেট পেশ করছেন অরুণ জেটলি। তিনি জানান, দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়েছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ব। ভারত পঞ্চম শক্তিশালী দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।
বাজেট পেশের দিনে তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনে জোর ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। গরীবের জন্য বাড়ি করা হবে। অর্থনৈতিক ভর্তুকি গরীবের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা ২০২২ এর মধ্যে কৃষকদের আয় ডাবল করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা কোটি কোটি গরীব মানুষের কাছে গ্যাস পৌঁছে দিতে পারছি। আমরা চাই কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পান। বহু পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া গেছে। কৃষিকাজে আরও জোড় দেওয়ার কথা বলে তিনি বলেন, ফড়েবাজ বন্ধ করতে তৎপর সরকার। কৃষকরা যাতে সরাসরি ফসল বিক্রি করতে পারে, তার ব্যবস্থা করব। ভেষজ উৎপাদনে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। খাদ্য পক্রিয়াকরণে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মহিলাদের স্বনির্ভর করতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আরও কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে। কৃষিক্ষেত্রে বরাদ্দ ১১ লক্ষ কোটি টাকা। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। ২ বছর আরও ২ কোটি শৌচালয় তৈরি করা হবে। বাঁশ উৎপাদনে জোর দিতে ‘ন্যাশনাল বাম্বু মিশন’ করা হয়েছে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব দিল্লিতে বায়ুদূষণ রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখন থেকে যারা অন্যের জমি চাষ করবেন তাদের সহজ ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। ৯৬ টি জেলায় সেচ ব্যবস্থায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বাঁশ চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হল। দেশে অনেকগুলি ফুডপার্ক তৈরি করা হবে।
ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে। আদিবাসী শিশু শিক্ষায় বিশেষ জোর। এছাড়াও খেলাধুলা ও বৃত্তিমূখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী সৌহার্দ্য যোজনার জন্য বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। ছিয়ে পড়া মানুষদের পরিবারের উপর বিশেষ নজর দিয়ে তাদের সবরকম সহযোগীতা করা হবে। বরোদায় রেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরী করা হবে। প্রি নার্সারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক একটাই শিক্ষানীতি। মাইক্রো ইরিগেশন প্রকল্পে বিশেষ জোর দিচ্ছি আমরা। আগামী বছরে আরও ৫১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে। দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যবিমা এবং ৫০ কোটি মানুষের জন্য ৫ লাখ করে স্বাস্থ্যবিমা করা হবে। ন্যাশনাল হেলথ স্কীমে ১২০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি ৩ টি লোকসভা কেন্দ্র পিছু একটি করে মেডিক্যাল কলেজ এবং ২৪ টি নতুন মেডিকেল কলেজ হবে। স্বাস্থ, শিক্ষা ও সামাজিক স্তরে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও তফশিলি উপজাতির জন্য শিক্ষায় বিশেষ জোর। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে সফলতা।
জিএসটি, নোটবাতিলে ক্ষুদ্র- মাঝারি শিল্পে ক্ষতি। বাজেট পেশের সময় মানলেন অরুণ জেটলি। সেই ক্ষতিপূরণে সরকারের বিশেষ প্রকল্প। কর্মসংস্থানে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। গঙ্গার ধাতে ৪ হাজার গ্রাম আছে সেখানে শৌচালয় করে দেওয়া হয়েছে। ৭০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরী করা হবে। সীমান্তে নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে।
রেল পরিষেবায় আরও জোর দেওয়া হয়েছে। ৩৬ হাজার রেলপথের মেরামতি। রেলে বরাদ্দ ১ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। ৬০০ রেল স্টেশন আধুনিকীকরণ করা হবে। এখন সমস্ত স্টেশনে চলমান সিঁড়ি। সব স্টেশনে ওয়াইফাই ও সিসিটিভি লাগানো হবে। গোটা পূর্ব রেলওয়েকে ব্রডগেজ করা হবে। মুম্বাই-এ রেলপথ আরও ৯০ কিলোমিটার বাড়ানো হবে। এয়ারপোর্টের সংখ্যা আরও পাঁচ গুণ বাড়ানো হবে। বর্তমানে ভারতে বিমানবন্দরের সংখ্যা ১২৪. এটা ৫ গুন করার চেষ্টা।
Be the first to comment