মা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেয় নি, হামলার আশঙ্কায় দেশ ছাড়েন, এখনও মা দেশের প্রধানমন্ত্রী জানালেন হাসিনা পুত্র জয়

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি:-

আরও একবার জল্পনা উসকে দিল শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর বক্তব্য শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেয় নি। এখনো তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি তুলেছেন হাসিনা পুত্র। তাঁর দাবি, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অসাংবিধানিক। কারণ, সাংবিধানিক ভাবে এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন হাসিনা।
আমেরিকা থেকে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাকে জয় আরও জানান, ‘‘আমার মা আনুষ্ঠানিক ভাবে কখনওই পদত্যাগ করেননি। তিনি সময়ই পাননি। তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু তত ক্ষণে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। তাই সময় ছিল না। আমার মা নিজের ব্যাগ পর্যন্ত গোছাতে পারেননি। সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’’
প্রসঙ্গত, ৫ আগষ্ট বিকালে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, বাংলাদেশ ছাড়ার আগে হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু পাঁচদিনের মাথায় হাসিনা পুত্র সেই দাবি খারিজ করে আরও একবার জল্পনা উসকে দিলেন। তিনিও আরও জানান, ১৫ উপদেষ্টার এই সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনের সময়ই দেশে ফিরবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন পরেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন জেনারেল জামান এবং ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্থির করেন, নোবেলজয়ী ইউনূসকে প্রধান করে আপাতত অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সেই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে। ‘প্রধান উপদেষ্টা’ ইউনূসের সরকারে ১৬ জন উপদেষ্টাও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যে মন্ত্রক বণ্টন করা হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে জয়ের এই বক্তব্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে।
জয় জানান, এই মুর্হুত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সংকটে রয়েছেন। তাঁদের হিংসার হাত থেকে বাঁচাতে যা যা করার দরকার, তা আমি করব। যদি রাজনীতিতে নামা প্রয়োজন পড়ে আমি পিছিয়ে আসব না। আমার রাজনীতিতে আসার তেমন কোনও ইচ্ছে ছিল না। আমেরিকাতেই পাকাপাকিভাবে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে ভাবাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, দেশের নেতৃত্বে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। দলের স্বার্থে আমি সক্রিয় রাজনীতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। দল ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতেই হবে। আমি সামনে এগিয়ে যাব।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*