চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিশেষ জোর দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রসঙ্গত আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ যেমন বাড়ানো হয়েছে, ঠিক তেমনই নেওয়া হয়েছে একাধিক নতুন উদ্যোগও।
প্রসঙ্গত, গতবছর ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের বাজেটেও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। সেইবার স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ একলাফে ১.৯৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.২৭ শতাংশ করা হয়েছিল। গত অর্থবর্ষের বাজেটে মূলত দেশের স্বাস্থ্য সরঞ্জাম শিল্পকে উৎসাহ দিতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্যখাতে সাধারণ মানুষের খরচ কমানো।
এবারের বাজেটেও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে এবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিমায় এবং দেশজুড়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়নে। দেশের দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলি যাতে চিকিৎসা পরিষেবার খরচ মেটাতে সরকারি সাহায্য পেতে পারে, সেজন্য এবার বাজেটে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল প্রোটেকশন স্কিমে এজন্য ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। এই স্কিমে দেশের ১০ কোটি দরিদ্র পরিবার সরকারি স্বাস্থ্য বিমা পরিষেবার আওতায় আসবে। এই বিমায় বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা পাবে পরিবারগুলি।
স্বাস্থ্যবিমার পাশাপাশি নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি এবং হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে। গ্রামীণ ও শহর এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ২৪টি জেলা হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নত করার প্রস্তাবও রয়েছে বাজেটে। প্রতি ৩টি সংসদ এলাকা পিছু একটি জেলা হাসপাতালকে এভাবে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নীত করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি রাজ্যে একটি করে কেন্দ্রীয় মেডিকেল কলেজ তৈরির প্রস্তাবও রয়েছে বাজেটে।
এছাড়াও, টিবি প্রতিরোধে ৬০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। এই টাকায় টিবি রোগীদের চিকিৎসাকালীন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
Be the first to comment