আরজিকরের ঘটনায় ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি’তে এবার বিধানসভায় ধর্নায় বসলেন বিজেপি বিধায়কেরা

Spread the love

আরজিকর হাসপাতালে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। কলকাতা থেকে জেলা একাধিক হাসপাতালে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে বুধবার বিধানসভার সামনে ধর্না অবস্থানে বসলেন বিজেপির বিধায়করা। নেতৃত্বে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার বিধানসভার ভবনের সামনে বসে স্লোগান তোলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, আরজি করের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁর এবং অন্যান্য বিজেপি বিধায়কের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘একটাই দাবি— স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।’ এদিন বিরোধী দলনেতা অভিযোগ, ” এটা সংঘটিত গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা আর রাজ্য সরকার চাইছে সত্যিটা ধামাচাপা দিতে।” শুভেন্দু এও বলেন, “আরজিকরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের আড়াল করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশ এই কাজ করেছে। তাই অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। বুধবার সকালেই দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে সিবিআইয়ের ‘বিশেষ দল’। ইতিমধ্যে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে, আরজিকর কাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে প্রশাসন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, ”রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকায় আমি স্তম্ভিত”। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নির্যাতিতাকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
এরপরই, বুধবার বিধানসভায় শুভেন্দু বলেন, ঘটনায় আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত রয়েছে। তাদের আড়াল করতেই তদন্তের নামে পুলিশ আসল সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আরজিকর কাণ্ডে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও যাতে জেরা করা হয়, সিবিআইয়ের কাছে সেই দাবিও জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র সংবেদনশীল নাগরিক, ছাত্রসমাজ, বেকার, বিশেষ করে মাতৃশক্তি তাঁদের বলব, তাঁরা একটা দাবিতেই আন্দোলন করুন। এই রাজ্যের এই সমস্ত জঘন্য, নারকীয়, বর্বর ঘটনার যিনি ‘কুইনপিন’ , যিনি আসল স্থপতি তাঁর পদত্যাগ হবে একমাত্র দাবি। এবার মূল দাবির জন্য আন্দোলনে নামতে হবে।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*