থেমে থাকলেন না টলি তারকারাও, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তাঁরাও সামিল

Spread the love

অমৃতা ঘোষ:-

১৪ অগস্টের মধ্যরাতে এক অনন্য ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ এবং নারী নিরাপত্তার জন্য সরব হয়ে গোটা বাংলার মেয়েরা এদিন পথে নেমেছিলেন। বাদ যাননি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মাও। কিন্তু তিনি মোটেই ছেলের সঙ্গে পথে নামেননি। এই লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন একাই।

সৃজিত মুখোপাধ্যায় এদিন একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি জানান তাঁর মা যিনি কিনা একজন চিকিৎসকও বটে তিনি ছেলের সঙ্গে জমায়েতে আসতে চাননি। বরং একাই সেখানে গিয়েছেন। এই বিষয়ে সৃজিত লেখেন, ‘আমার ৭৭ বছর বয়সী মা যিনি কিনা পেশায় একজন চিকিৎসকও বটে তিনি আমার সঙ্গে জমায়েতে যেতে না করে দেন। যাদবপুর ৮ বি-তে একাই যান প্রতিবাদ করতে।’

এরপর তিনি আরও জানান, ‘আমি চিন্তিত ছিলাম। একই সঙ্গে গর্বিতও।’ অনেকেই তাঁর এই পোস্টে বাহবা জানিয়েছেন। কেউ আবার নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।

টলিপাড়ার অনেকেই আবারো গতকাল ১৮ আগস্ট রবিবার পথে নেমেছিলেন। আরজি কর কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সরব হলেও টলিউডের সেলেবরা নাকি তেমন ভাবে গর্জে ওঠেননি। এমনটাই দাবি করেছিলেন অনেককে। কারও কারও আবার ধারণা ছিল তাঁরা রাজনৈতিক চাপে নাকি ‘রাত দখলে’ জমায়েতেও আসবেন না। কিন্তু সেই চিন্তাধারা ভেঙে দিলেন খোদ তারকারাই। আরজি করের তিলোত্তমার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিচার চেয়ে পথে নামল টলিউডের একাংশ। রাত দখলে সহনাগরিকদের সঙ্গে বিচার চাই স্লোগানে কণ্ঠ মেলালেন শুভশ্রী, পার্নো, মিমি, সহ অন্যান্যরা। বাদ গেলেন না ছোট পর্দার তারকাও। একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে সেখানে দেখা যাচ্ছে মিছিল এবং জমায়েতে অংশ নিয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পার্নো মিত্র, অরিন্দম শীল। তাঁদের সঙ্গে দেখা যায় পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তকেও। অন্যদিকে যাদবপুরের জমায়েতে অংশ নেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
বাদ যাননি যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তাঁক মিছিল থেকে হাততালি দিয়ে স্লোগান তুলতে দেখা যায়। অন্যদিকে ঋদ্ধি সেনও জমায়েতে অংশ নেন। ছোট পর্দার রূপাঞ্জনা মিত্র থেকে সায়ন্তনী মল্লিক, দিব্যজ্যোতি সহ অনেকেই রাস্তায় নামেন।

অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী বলছেন, ‘কেবল রাত নয়, আমরা দুপুর, বিকেল, সকাল সন্ধে সবই দখল করতে চাই। আর সেটা দখল করতে চাইতে হচ্ছে এটাই যথেষ্ট লজ্জার। আমরা সবাই মানুষ। একটা ছেলে যদি গল্প করতে করতে রাত ২.৩০ বা ৩টের সময় রাস্তা দিয়ে ফিরতে পারে, আমরা হাঁটলে বাবা-মায়েরা সঙ্কিত হয়ে ওঠেন কেন? কারণ আমাদের তো কোনও নিরাপত্তা নেই। আমরা তো শারীরিকভাবে দুর্বল। আর সেইটারই তো বার বার সুযোগ সুবিধা নেওয়া হয়। অন্তত আমাদের শহর দিয়েই শুরু হোক। জানি না এটা কবে হবে যে আমরা যেন দিনের যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায় একসঙ্গে গল্প করতে পারি, কথা বলতে পারি, নাটক করতে পারি, শ্যুটিং করতে পারি।’

লগ্নজিতা বলেন, ‘মাথার মধ্যে দু’রকম জিনিস একসঙ্গে চলছে। একদিকে মনে হচ্ছে এগুলো করে কিছুই হবে না। যেমন আগেও হয়নি। আগের বছর যে যাদবপুরের ছেলেটি মারা গেল, কী হল? আমরা তো জানতে পারলাম না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*