অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গলা মিলিয়ে ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি চাইলেন দেব

Spread the love

অমৃতা ঘোষ:-

এবার আর জি করের ঘটনা নিয়ে পথে নামলেন ঘাটালের সংসদ তথা বাংলা ছবির নায়ক দীপক অধিকারী তথা দেব। শনিবার সন্ধ্যেবেলায় আর্টিস্ট ফোরামে আরজি করের প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিলেন দেব।

আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে সারা দেশ আজ একসাথে গর্জে উঠেছে। ধর্ম , জাতির আজ কিছু ভেদা ভেদ নেই। গোটা দেশ আজ এক জায়গায় আওয়াজ তুলেছে।

এই পাশবিক ধর্ষণ ও হত্যা যে বা যারা করেছে তাদের শাস্তি চাই। জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে কর্ম বিরতি নিয়েছে, বিচার না হলে তাঁরা কোনো ভাবেই তাদের কর্তব্যে ফিরবেন না। সাধারণ মানুষজনও আজ বিচার চাইছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতা মেনে রাত্রি দখল আন্দোলন হচ্ছে চারিদিকে। নারী – পুরুষ , বয়স্ক রাও বাদ নেই।

প্রসঙ্গত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
আরজি কর চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পরেরদিন তাঁর সংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবার প্রশাসনিক সভার পরে সাংবাদিক দের জানান যে এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক ঘটনা।এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তিনি কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।

এর পাশাপশি ১৪ তারিখ তিনি একটি এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট করেন যেখানে তিনি আরজিকরে যে বহিরাগতদের দ্বারা হামলা ও ভাঙচুর হয় সেটির তীব্র নিন্দা করেছেন এবং কলকাতা পুলিশ কে তিনি আরো কঠোর হওয়ার কথা বলেন এবং এর সাথে তিনি পাশাপাশি ২২ তারিখ আরেকটি এক্স্যান্ডেলে পোস্ট করেন যেখানে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত দেশে যে ধর্ষণ কাণ্ড ঘটছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন যে দেশে কঠোর শাস্তি আইন আনা দরকার ধর্ষণের বিরুদ্ধে।
তিনি আরো বলেছেন, ৫০ দিনের মধ্যে যাতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে অপরাধীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হয় এখনই সেরকম আইন লাগু হওয়া দরকার। রাজ্যগুলিরও উচিত ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন প্রণয়নের ব্যাপারে কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করা। তিনি বলেন , ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। সব শেষে গোটা দেশের মানুষকে জেগে ওঠার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এবং সারা দেশে প্রতি নিয়ত যে ধর্ষণ বাড়ছে তার জন্য তিনি কঠোর শাস্তির দাবি করেন জনসমক্ষে।

অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই একই বিষয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে একটি চিঠি লেখেন যেখানে ফার্স্টট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে যাতে দোষীর বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, সেই নিয়েও চিঠিতে তিনি বলেছেন।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশের বলিউড তারকা, টলিউড তারকা, ক্রীড়া জগতের তারকা রাও আজ একই আওয়াজ তুলেছেন ” WE WANT JUSTICE “…

এই অবস্থায় এই মুহূর্তে এই অমানবিক ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআই এর ওপর। এই আরজিকর ঘটনার পর একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ,
তবে এরপর সিবিআই আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নেবার পরেও সাত দিন কেটে গিয়েছে তবুও অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ছাড়া অন্য কাউকে এখনো গ্রেফতার করেনি। সূত্র মতে, সন্দেহের তালিকায় তো অনেকেই আছেন। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কেও একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ডেকে পাঠাচ্ছেন ও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরজি কর কাণ্ডে অনেকেই অনেক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদ মাধ্যমে তাদের বক্তব্যের বহিঃপ্রকাশ করেছেন। তবে এবার সামনে এসে মুখ খুললেন অভিনেতা ও তৃণমূল সাংসদ দেব।
তিনি বলেন , ‘গত ১৪ দিনে ১৪০০ টা গোটা দেশে ধর্ষণ হয়েছে।ভারত সরকার এখনই এই ধর্ষণ নিয়ে বিশেষ বিল এনে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে। ১ মাসের মধ্যে ধর্ষণকারীদের ফাঁসির জন্য ভারত সরকার বিশেষ বিল তৈরি করুক।’

দেবের কথায়, ‘ভারত সরকার রাতারাতি নোট বন্দি করতে পারেন, ২০০০ টাকার নোট তুলে নিতে পারেন, ইডির হাতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বিশেষ বিল আনতে পারেন। তাহলে এই জঘন্য ধর্ষণের অপরাধ বন্ধ করতে কেন অতি দ্রুত রাতারাতি বিল বা আইন প্রণয়ন করছে না ভারত সরকার?’

তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে যেভাবে মহিলারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল স্বাধীনতার পর এই রকম এত সর্ববৃহৎ আন্দোলন আর হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে সাধারণ মানুষ তথা মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে যত সময় যাচ্ছে সেই আন্দোলনকে রাজনৈতিক বিভিন্ন নেতারা নানাভাবে দখল করার চেষ্টা করছে। এই আন্দোলন তখনই সার্থকতা রূপ পাবে যখন অফিসের একজন মহিলা থেকে শুরু করে মধ্যরাতে রেল ব্রিজ দিয়ে হেঁটে যাওয়া কোন একজন যুবতী কোন ভয় পাবে না। যারা ভবিষ্যতে মেয়েদের প্রতি এই ধরনের অপরাধ ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদের অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে ফাঁসি দিলে তবেই এই ধরনের জঘন্য অপরাধ রোখা সম্ভব হবে।’

দেব বলেন, কেন্দ্র এবার রাতারাতি আইন বের করুক এবং তা সক্রিয় করুক , যাতে ১ মাসের মধ্যে এই ধরনের অপরাধীর ফাঁসির সাজা হয়। তৃণমূল সাংসদ দেব এই দাবি করেছেন কেন্দ্রের কাছে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*