নবান্ন অভিযানের আগেই ‘ঝুলি থেকে বেরোলো বেড়াল’ আরএসএসের মদতপুষ্ট ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি, কলকাতাঃ মঙ্গলবার অরাজনৈতিক ব্যানারে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। আর তার আগের দিনই কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের চাপে তারা স্বীকার করে নিলেন তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয়। অর্থাৎ, নবান্ন অভিযানের আগেই ‘ঝুলি থেকে বেরোলো বেড়াল।’ এদিন প্রতিনিধি শুভঙ্কর হালদার বলেই দেন তিনি, আরএসএসের সক্রিয় কর্মী, পাশাপাশি জানা যায় কেউ আবার বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য।
সোমবার বিকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা সাংবাদিক বৈঠক করতে আসেন আন্দোলন করছেন বলে তাদের উপর মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে বোঝাতে চাইছিলেন তাঁরা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্ন শুনে মেজাজ হারালেন সংগঠনের এক সদস্য শুভঙ্কর হালদার। তাঁকে আরএসএস নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলে ফেললেন, ”আমি গর্বিত যে আমি সংঘের একজন সক্রিয় সদস্য। তবে তার সঙ্গে এই ছাত্রসমাজের কোনও যোগ নেই।” পাশাপাশি তিনি রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে বলেন, ”বিরোধী রাজনীতি করলেই জেলে থাকতে হবে। আমি তিনবার জেলে গিয়েছি। আর যাঁরা আমার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা ৩৭৬ ধারায় মামলার প্রমাণ দেখাতে পারলে, আমিও দেখে নেব।” উল্লেখ্য, এই শুভঙ্কর হালদারের বিরুদ্ধেই নবদ্বীপ থানায় শ্লীলতাহানির মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। পাশাপাশি, এই সংগঠনের অন্যতম প্রতিনিধি সায়ন লাহিড়ীকে তাঁর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বলতে শুরু করেন। এরপর তাঁকে নির্দিষ্ট করে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি প্রথমে বলেন ছাত্র ছাড়া কিছু নন। কিন্তু পরে প্রকাশ্যে বলে ফেলেন যে যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শাসকদল বার বার যে অভিযোগ তুলছিল, নবান্ন অভিযানের নামে শহরের রাজপথে বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক চলছে, নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে গেরুয়া শিবির, পরিচয় প্রকাশে ‘আত্মঘাতী গোল’ দিয়ে তাতেই কার্যত সিলমোহর দিলেন ছাত্রসমাজের সদস্যরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*