ধর্ষকের কঠিন সাজা চেয়ে দ্বিতীয়বার মমতার চিঠি মোদিকে

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি:-

ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন চেয়ে আটদিনের ব্যবধানে শুক্রবার ফের একবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে লেখা দুপাতার ওই চিঠিটি সমাজমাধ্যমেও পোষ্ট করেন মমতা।

গত ২২ আগষ্টে ধর্ষণ রোধে কঠোর আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মমতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির কোনও জবাব দেননি। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একটি উত্তর দেওয়া হলেও, সেটা দায়সারা। তাই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ফের চিঠি। মমতার দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে, সেগুলি রুখতে অবিলম্বে কঠোরতম আইন আনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো প্রথম চিঠিতে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে যাতে ধর্ষণের মামলায় দোষীর বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, সেই বিষয়ে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পাশাপাশি, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিচার পরিকাঠামো (বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট, পকসো মামলার জন্য পৃথক আদালত গঠন প্রভৃতি) নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রথম চিঠিতে যে বিষয়গুলি জানানো হয়েছিল, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের প্রত্যুত্তরে সে প্রসঙ্গের কোনও উল্লেখ নেই বলে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা দ্বিতীয় চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, শুক্রবারের চিঠিতে মমতা উল্লেখ করেছেন, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একটি জবাব দেওয়া হলেও তাতে বিষয়টির গভীরতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সমাজে এই ইস্যুর গুরুত্ব কতটা তাতে আলোকপাত করা হয়নি ওই জবাবে। উপর উপর একটা দায়সারা জবাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে জানান, ধর্ষণ রোধে বাংলার সরকারের নেওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা জানানো হলেও সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ১০টি বিশেষ পকসো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির অনুমতি দিয়েছে। তাছাড়া আগে থেকেই ৮২টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এবং ৬২টি বিশেষ পকসো আদালত চালু আছে। এই আদালতগুলিতে স্থায়ী জুডিশিয়াল অফিসার নিয়োগ করতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এদিনের চিঠিতে ফের ধর্ষণ ও খুন রুখতে কঠোরতম আইন আনার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, “আমি আবারও আপনাকে অনুরোধ করছি ধর্ষণ এবং খুনের মতো নৃশংস ঘটনা রুখতে কেন্দ্রীয় স্তরে কঠোর আইন আনুন। যাতে এই ধরনের অপরাধে কঠোরতম শাস্তি হয়। এবং অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়ে সম্পন্ন হয়।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*