অমৃতা ঘোষ:-
আরজিকরের ঘটনার রেশ এখনো পর্যন্ত দমেনি। কিন্তু এই ঘটনার পরেও ক্রমশ ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ,যৌন হেনস্তা , একই রকম ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ততে হয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা , মহারাষ্ট্র , তেলেঙ্গানা , বিভিন্ন রাজ্য থেকে উঠে আসছে নানা রকম নাবালিকা ও মহিলাদের ধর্ষণের এক এক ঘৃণ্য ঘটনা।
বীরভূমের পর এবার হাওড়া। এখানেও একটি নাবালিকাকে শ্লীলতা হানির শিকার হতে হলো।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত বুধবার নাগাদ ১২ বছরের একটি কিশোরী বুকের ব্যথা নিয়ে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরীক্ষা সংক্রান্ত কারণে কিশোরী টিকে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য শনিবার রাতে ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানেই তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এটি তার পরিবার পরিজনেরও অভিযোগ।
ল্যাব থেকে বেরিয়ে এসে নাবালিকা কিশোরীটি তার পরিবারকে সমস্ত ঘটনা জানায়।
এরপর সমস্ত হাসপাতালে হইচই পড়ে যায় সেখানে অন্যান্য রোগীদের পরিবার সমেত নিগৃহীত কিশোরীর পরিবার একসাথে প্রতিবাদ জানান। এরপর হাওড়া থানায় সেখান থেকে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ তড়িঘড়ি করে সেখানে হাসপাতালে এসে পৌঁছয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ল্যাব কর্মীকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় এবং সেখানে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জানা যায় ল্যাব কর্মীটি স্বল্প সময় চুক্তির ভিত্তিতে সেখানে কর্মরত ছিলেন।
রবিবার সকালে এই নিয়ে হাওড়া হাসপাতালে সকলে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে । সকলের একটাই দাবি কোন মহিলা রোগী যদি একা ল্যাবে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রবেশ করে তাহলে সেখানে কেন কোন মহিলা কর্মচারী রাখা নেই এবং কেনই বা রোগীর পরিবার পরিজনকে সেই ল্যাবের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ঢুকতে দেওয়া হয়নি মহিলা রোগীর সাথে ? এই নিয়ে ওঠে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন। হসপিটালে সুপারকে বিভিন্ন রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এবং তিনি প্রথমে এই ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। পরে সকলের সামনে তিনি নারী সুরক্ষার বিষয়ে হাসপাতালে সতর্কতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ল্যাব কর্মীকে পুলিশের গ্রেপ্তারে রাখা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে শোকজ করা হয়েছে।
Be the first to comment