নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্য

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক :-

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্য।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ চারটি শর্তে জামিন দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। হাই কোর্টের নির্দেশ, তাঁকে তদন্তকারী অফিসারকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে। নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যাবে না। কোনও সাক্ষীর উপরে প্রভাব খাটানো বা হুমকি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়াও তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না মানিক।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করেছে সিবিআইও। তবে সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করেনি। এই বিষয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন মানিক। ফলে বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট জামিন দেওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে কোনও বাধা রইল না তাঁর। গত ২৯ অগস্ট মানিকের জামিন-মামলার শুনানি শেষ হয় হাই কোর্টে। তবে ওই দিন শুনানি শেষ হওয়ার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন মানিক। সেই থেকে তিনি জেলে। জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। এই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন আগের দিন মানিক কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। আদালতে ইডি জানিয়েছিল, মানিকের ছোট ভাইয়ের বয়ানকে হাতিয়ার করে জামিনের বিরোধিতা করছে তারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই বক্তব্য শোনার পর কেঁদে ফেলেন মানিক। তিনি জানান, গ্রেফতারির সময় তাঁর ভাই সিবিআইকে কী বলেছেন, জামিনের ক্ষেত্রে তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। ওই দিন জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন মানিক।
উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় মানিকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। হাই কোর্ট পরে তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দেয়। মানিকের পুত্র শৌভিক জামিন পান সুপ্রিম কোর্ট থেকে। কিন্তু মানিকের জামিন হয়নি।
অন্যদিকে, জামিনের আবেদন নিয়ে মানিক এর আগে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ আদালত মানিকের জামিন মঞ্জুর করেনি। বলা হয়েছিল, ওই জামিন মামলার ত্রুটি সংশোধন করে হাই কোর্টে আবেদন করতে হবে মানিককে। সেই মতো উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে মামলা করেন তৃণমূল বিধায়ক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*