রোজদিন ডেস্ক:– চলতি বছরে হচ্ছে না প্রাথমিক টেট। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে এমনটাই খবর। জানা যাচ্ছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে টেট পরীক্ষা হলেও উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের এখনও নিয়োগ করা হয়নি। সেকারণেই ২০২৪ সালের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে খবর।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, ‘আগে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। তারপরই নেওয়া হবে পরীক্ষা।’ যদিও এর আগে প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানালেও লাভের লাভ হল না। প্রাথমিক টেট নিয়ে ভূরিভূরি অভিযোগ ছিল। সে কারণেই দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। এরপর ২০২২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং পাঁচ বছর পর ওই সালের ডিসেম্বরেই নেওয়া হয়েছিল টেট পরীক্ষা।
২০২২ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী। সেই পরীক্ষায় দেড় লক্ষ প্রার্থী উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। পাশাপাশি ২০২৩-এও পরীক্ষা নেওয়া হলে ফল প্রকাশ হয়নি এখনও। এই পরিস্থিতিতে যদি নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, আগামীদিনে টেট নিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না। প্রতি বছরই নেওয়া হবে পরীক্ষা। কিন্তু এবার পর্ষদের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, আগের পরীক্ষারই নিয়োগ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তাই চলতি বছর আর টেট নেওয়া যাবে না। আগে নিয়োগ হবে তারপর পরীক্ষার কথা ভাবা হবে।
পর্ষদের আচমকা এমন সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে সরব বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, বেকার যুবকদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। রাজ্যে চাকরি নেই। ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এটা নতুন কিছু নয়, আগে দেখুন আরও কী হতে চলেছে।
বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, আইনত প্রতি বছরই টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা। তিনি মনে করিয়ে দেন রাজ্য সরকারের লাগাতার দুর্নীতি ও পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমন হচ্ছে। বেকারত্ব বাড়িয়ে যুবসমাজকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
Be the first to comment