রোজদিন ডেক্স: কিছুদিনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট। মোট আসন ২৮৮টি। মঙ্গলবার এই সব আসনে মনোনয়ন পেশ করার ছিল শেষদিন। মঙ্গলবারের পর আর মনোয়ন পেশ করা যাবে না অর্থাৎ নতুন করে প্রার্থী দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এই ২৮৮টি আসনের জন্য শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের তরফেই সরকারিভাবে এপর্যন্ত যে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সব কটিতেই প্রার্থীই দিতে পারল না তারা। এর পিছনে শরিকি কোন্দলকেই দায়ি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
শেষ কয়েকবছরে পাল্টে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক চিত্র। স্থানীয় দুই দল শিবসেনা ও এনসিপি দুই শিবিরে ভাগ হয়েছে। এরই সঙ্গে একদিকে রয়েছে বিজেপি, অন্যদিকে কংগ্রেস।
বিজেপি একনাথ শিন্ডের শিবসেনার সঙ্গে লড়ছে। সেই জোটেই রয়েছে অজিত পাওয়ারের এনসিপি। নাম দেওয়া হয়েছে মহাজুটি। আর অপরদিকে বিরোধী শিবিরে রয়েছে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, শরদ পাওয়ারের এনসিপি ও সমাজবাদী পার্টি। নাম দেওয়া হয়েছে মহাবিকাশ আগাড়ি।
মহারাষ্ট্রের যেকোনও রাজনৈতিক শিবিরে এখন কান পাতলেই শোনা যাবে শরিকি দ্বন্দ্বের কথা। মনোনয়ন শেষ হওয়া পর্যন্ত ২৮৮-র সবকটিতে প্রার্থীই দিতে পারল না দুই শিবির। শাসক গোষ্ঠী অর্থাৎ মহাজুটি প্রার্থী দিয়েছে ২৮৪টি আসনে। অর্থাৎ ৪টি আসন এখনও ফাঁকা। এই ২৮৪-র মধ্যে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা প্রার্থী দিয়েছে ৮০-টি আসনে, বিজেপি ১৫২টি ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি ৫২টি আসনে। অপরদিকে মহাবিকাশ আগাড়ির তরফে মোটে ২৮০টি আসনে মনোনয়ন পেশ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা লড়ছে ৮৭টি আসনে, শরদ পাওয়ারের এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে ৮৭টি আসনে ও সমাজবাদী পার্টি ৩টি আসনে।
তাহলে কী মহাজুটি ওই ৪টি আসনে আর মহাবিকাশ আগাড়ি ও ৮টি আসনে প্রার্থী দেবে না? দুই শিবিরই জানিয়েছে, এই আসনগুলিতে ছোট শরিক দলকে জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু কারা সেই শরিক দল, কারাই বা মনোনয়ন জমা দিল, সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই শিবিরই ২৮৮টি আসনে লড়বে। সরকারিভাবে প্রার্থী ঘোষণা না করা হলেও সব আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন, পরে তাঁদের সমর্থন করা হতে পারে।
Be the first to comment