আবাসের সার্ভে নিয়ে অহেতুক চিন্তার কারণ নেই, সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন আলাপন

Spread the love

রোজদিন ডেক্স: আবাস যোজনার প্রাপকদের তালিকা থেকে বাদ যাওয়া নামগুলি পুনরায় রি-চেক করার জন্য মঙ্গলবারই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও বিডিও অফিসগুলিতে ক্ষোভের অন্ত নেই। বুধবারও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একাংশ গ্রামবাসী।
এবার এবিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “এই রি-সার্ভে নিয়ে অহেতুক উদ্বেগের কারণ নেই।”
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাংলার গ্রাহকদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের ধাঁচে বাংলা আবাস যোজনা গড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সেপ্টেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যই দেবে মানুষের আবাসের টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনায় রাজ্যের প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ মানুষকে বাড়ি বানানোর জন্য প্রথম কিস্তির টাকাও দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো আবাসের টাকা বিলির প্রক্রিয়াও শুরু করেছে রাজ্য। সে কারণেই টাকা বিলির আগে আবাসের তালিকা ফের স্কুটিনি করছে প্রশাসন। তাতে বেশ কিছু নাম যেমন বাদ পড়েছে তেমনই প্রাপকের তালিকায় বাড়ি রয়েছে এমন অনেকের নাম রয়েছে বলেও অভিযোগ। যাকে ঘিরে ক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে রাজ্যের জেলায় জেলায়।
এ ব্যাপারে বুধবার দুপুরে নবান্নে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ভিডিও কনফারেন্সে প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে এ ব্যাপারে মানবিক ভিত্তিতে সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যসচিব এও বলেছেন, ‘তালিকা থেকে কারও নাম বাতিল  করার আগে দ্বিগুণ নিশ্চিত করতে হবে, তবেই বাতিল করা যাবে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, তালিকা থেকে যোগ্য কারও নাম যাতে বাদ না যায় সেজন্যই রি-চেক করতে হবে। তারপরও বিভিন্ন মহলের তরফে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের ৬০ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা। দিল্লি সেই টাকা দেয়নি। তাই গরিব মানুষগুলোর স্বার্থে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাড়িগুলো তৈরির জন্য টাকা রাজ্য দেবে। সেই কারণেই শুরু হয়েছে সমীক্ষা।”
সমীক্ষা নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে আলাপন এও বলেন, “ইতিমধ্যে কেউ পাকাপাকি বাড়ি করে ফেলেছেন কিনা, অন্যত্র চলে গিয়েছেন কিনা তা দেখতেই এই সমীক্ষা। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সকল তালিকাভুক্ত মানুষ মাথা পিছু এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পাবেন। অহেতুক এই রি-সার্ভে নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*