রোজদিন ডেস্ক :- সেপ্টেম্বরে বন্যা। অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় দানা। সেই সঙ্গে উৎসব-পার্বণের মরসুম। সব মিলিয়ে বাজার দর চড়া ছিলই। এবার ভাইফোঁটা। সেই মাহাত্ম্যে শনিবার থেকেই ফের চড়তে শুরু করেছে বাজার দর। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৩৬ টাকা কেজি। জ্যোতি আলু ৩০-৩২ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা কেজিতে, পটল ৮০, কাঁচালঙ্কা ২০০-২৫০, টম্যাটো ১০০-১২০, বিনস ১০০ টাকায়। ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা প্রতি পিসে। আদা-রসুন অনেকদিন আগেই ৪০০ গণ্ডি পেরিয়েছে। উর্ধমুখী পিঁয়াজও। কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে শশা, গাজরের দাম কিছুটা কম। কেজি প্রতি শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুধু সবজির বাজারই নয়, একই অবস্থা মাছ-মাংসের বাজারেরও। কলকাতার বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার কাছাকাছি। দেড় কেজি ওজনের দাম ঘোরাফেরা করছে আঠারোশোর মধ্যে। ভাইফোঁটা আর তাতে পাবদা, ভেটকি থাকবে না তা হয় নাকি? বাজারে পাবদা বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। ভেটকির দাম ৫০০-৫৫০ টাকা। পারশে মাছ এক কেজি প্রায় ৫০০ টাকা, মাঝারি মাপের বাগদার দাম ৮০০ টাকা। কাতলা, রুই থেকে সব ধরনের মাছ কিলো প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি। বড় সাইজের কাতলা বিক্রি হচ্ছে কিলো প্রতি ৩৫০ টাকা। রুই কেজি প্রতি ২৫০ টাকা। বাড়তি চাহিদা রয়েছে গলদা চিংড়়ির। প্রমাণ সাইজের গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। মুরগির মাংস কোথাও ২৫০, কোথাও ২৮০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি এক হাজার টাকার আশেপাশে।
এক ধাক্কায় অনেকখানি দাম বেড়েছে ফলেরও। আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়, বেদানা ২৫০-৩০০, নাসপাতি ১৫০-২০০, পেয়ারা ও শশা ৬০-৮০, আনারসের ১০০ টাকা। তবে দাম যতই চড়া হোক, বছরের এই একটা দিনে ভাইয়ের পাতে পছন্দের খাবার তুলে দিতে সকাল থেকেই ভিড় বাজারে। সবজি, মাছ, মাংসের পাশাপাশি মিষ্টির দোকানেও লম্বা লাইন শনিবার সকাল থেকেই ক্রেতাদের।
Be the first to comment