রোজদিন ডেস্ক :- প্রতিবছরই কালীঘাটে নিজের বাড়িতে ভাইদের ফোঁটা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসেন রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদরাও। কে বা কারা এলেন, কারা এলেন না, সেই থেকে বোঝা যায় সম্পর্কের বর্তমান সমীকরণ। ফলে সেদিকে নজর থাকে প্রায় সকলেরই। চলতি বছর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুনকে ফোঁটা দেবেন কি না সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে সব মান-অভিমান দূরে রেখে ছোট ভাইকে ফোঁটা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জল্পনা শুরু হওয়ার কারণ লোকসভা নির্বাচন ও হাওড়া সদর সিট। এই আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন বাবুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাওড়া সদরে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তিনি ওই কেন্দ্রেরই সাংসদ ছিলেন। যা নিয়ে সর্বসমক্ষে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাবুন। দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। ওই আসন থেকে নির্দল হিসেবে লড়াই করার কথাও সেসময় ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে অবশ্য তা হয়নি।
ভাইয়ের এমন কথা শুনে চটেছিলেন দিদি মমতা। সরাসরি উত্তরবঙ্গ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাবুনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করছেন তিনি। তারপর এবছর বাবুনকে ফোঁটা দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যেই জল্পনায় জল ঢেলে গতকাল বাকি ভাইদের সঙ্গে কালীঘাটে পৌঁছন বাবুনও। ফোঁটা নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে।
সূত্রের খবর, কালীঘাটে তিনি বেশ কিছুসময় ছিলেন। কথাও হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে, ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুজনের তা জানা যায়নি। এদিন পাঁচ ভাইকে ফোঁটা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোঁটা নিতে এসেছিলেন সুব্রত বক্সি, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই কালীঘাটের বাড়িতে আসেন তিনি। ফোঁটা নেন দিদির থেকে।
রবিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে ভাইফোঁটার আসর যেমন বসেছিল, অদূরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও বেশ ধুমধাম করে ভাইফোঁটা উদযাপন হয়। জানা গিয়েছে, খাবারের আয়োজনও ছিল শান্তিনিকেতনে।
Be the first to comment