রোজদিন ডেস্ক :- দশদিন পর ছিল বিয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখে ফিরে আত্মঘাতী প্রদীপ নামে এক যুবক। প্রদীপের মা বাবা নেই। দুই দাদা ও তাদের পরিবার আছে। চুঁচুড়ার স্থানীয় এক আশ্রম কন্যার সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল। আগামী ১৭ তারিখ ছিল বিয়ের দিন। কার্ড ছাপানো থেকে সবকিছু হয়ে গিয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার ধরমপুর কালীতলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রদীপকুমার সন্ন্যাসী,বয়স তাঁর ৩৫। ধরমপুরে তাঁর মিষ্টির দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে যান ওই যুবক।
আড়াইটে নাগাদ ফেরেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক দোকানদার দেখেন মিষ্টির দোকানের বিপরীতে একটি চারচালায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। খবর যায় পুলিশে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
যুবকের বন্ধু বিশ্বজিৎ পাল, কার্তিক মণ্ডলরা জানান, গতকাল রাত এগারোটার সময় বাইক নিয়ে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে যান। বন্ধুরা জানাচ্ছেন, প্রদীপ খুব হাসিখুশি ছিল। চিলিচিকেন তন্দুরি রুটিও খেয়েছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ি ফেরেন। ঠাকুরের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে ছবিও তোলেন যে প্রদীপ ফিরে গিয়ে দোকানে শুয়ে পড়বে। তারপরও এই মৃত্যু কেন বুঝে উঠতে পারছেন না বন্ধুরা।
Be the first to comment