চিরন্তন ব্যানার্জি, কলকাতা :- ১৪ নভেম্বর দিনটা বাঙালির কাছে বড়োই আবেগের, বড়োই আনন্দের। কারণ আজ যে বাঙালির একান্ত আপন ‘রসগোল্লা’র জন্মদিন।
একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নবীন প্রজন্মের কাছে ‘নবীন ময়রা’র আবিষ্কৃত ‘রসে’ আর ‘গোল্লা’র সংমিশ্রণ আজও জনপ্রিয়। যখন প্রতিদিন নিত্যনতুন মিষ্টির ভাবনা আসে বাঙালির মাথায়, তখন উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের তৈরি রসগোল্লা আজও বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর আগে হঠাৎই বাঙালির রসগোল্লায় ভাগ বসাতে গিয়েছিল বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা। কিন্তু শেষ হাসি হাসে বাংলাই। প্রমাণিত হয় রসগোল্লা নামক আশ্চর্য মিষ্টির জন্ম এই বঙ্গ দেশেই। তারপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর গোটা রাজ্যজুড়ে পালিত হয়ে আসছে ‘রসগোল্লা দিবস’।
রসগোল্লার প্রাণ পুরুষ নবীনচন্দ্র দাশকে স্মরণ করেই প্রতি বছরের মতো এবছরও রসগোল্লা দিবস পালন করছেন ওনারই উত্তরসূরী তথা কেসি দাস মিষ্টির দোকানের বর্তমান কর্ণধার ধীমান দাস। এদিন তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “রসগোল্লার জনপ্রিয়তা অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় সবচেয়ে বেশি। নতুন প্রজন্ম যেমন সাদা রসগোল্লাও খায়, তেমনই তারা পছন্দ করছে স্ট্রবেরি, ব্ল্যাক কারেন্টের মতো অন্যরকম স্বাদের রসগোল্লা।” এদিন তিনি এও বলেন, “২৫ থেকে ৩৫ বছরের প্রজন্মের কাছে মিষ্টির চাহিদা বাড়চ্ছে। তারমধ্যে জনপ্রিয় রসগোল্লা।” এদিন ধীমানবাবু বলেন, “আজকের দিনটি উদযাপনে আমরা বাংলার সাদা রসগোল্লার দামে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি।”
তবে মিষ্টির প্রেমে যখন হাবুডুবু তখন এই দিনেই পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। যে রোগ মিষ্টি থেকে দূরত্ব বাড়ায়। কিন্তু যাদের ইচ্ছা থাকলেও, সুগারের ভয়ে রসগোল্লা ছুঁয়েও দেখেন না, তাঁরাও আজকের অল্পস্বল্প নিয়ম ভাঙেন। তেমনই, ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত এক জৈনক ব্যক্তি বলেন, “নির্ভেজাল এক্কেবারে ছানার রসগোল্লা হলে, সেটা একটা খাওয়া যেতেই পারে আজকের দিনে। তাই ১৪ নভেম্বর একটু আধটু নিয়ম ভাঙলে ক্ষতি কী?”
Be the first to comment