কয়লা চুরি করবে সিআইএসএফ এবং নিচুতলার পুলিশ কর্মীরা, আর দোষ হবে তৃণমূলের? এ জিনিস একদম টলারেট নয় বললেন মমতা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্নীতি নিয়ে রণংদেহী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে একের পর এক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাসকদলেরই নেতা-মন্ত্রীরা। কয়লাচুরি, বালিচুরি-সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে বারংবার তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, নিচুতলার কিছু পুলিশকর্মী বা সিআইএসএফ-এর  কেউ কেউ চুরি করছে টাকা খেয়ে। তাদের মদতেই বালিচুরি বা কয়লাচুরির মতো ঘটনা ঘটছে। আর তা নিয়ে সমস্ত দোষ বারংবার দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের উপর। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে নির্দেশ দিলেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। এদিন মমতা ডিজিকে বলেন, “রাজীব তোমায় কিছু জিনিসকে দ্রুত দেখতে হবে। হয়তো তুমি চেষ্টা করো, কিন্তু লোকাল পুলিশ সাহায্য করছে না। সবাইকে বলছি না, একাংশের কথা বলছি।” প্রশাসনিক বৈঠকে কিছুটা ক্ষুব্ধই শোনালো মুখ্যমন্ত্রীর স্বর।

এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কয়লা চুরি করবে সিআইএসএফ এবং পুলিশের একাংশ, আর দোষ হবে তৃণমূলের? এ জিনিস আমি টলারেট করব না।”
এদিন পুলিশের একাংশ ও সিআইএসএফ-এর একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা ৫টাকা খেলে বলা হয় ৫০০ টাকা খেয়েছে। কিন্তু, নেতারা টাকা খাওয়ার আগে দশবার ভাবে। জনগনের টাকা কি খাওয়া উচিত? তাদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু নিচু তলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী, যারা এই সরকারকে ভালবাসে না। এবং পুলিশেরও নিচুতলার কিছু লোক। তারা টাকা খেয়ে এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে। এরাই টাকা খেয়ে বালিচুরি, কয়লাচুরি, সিমেন্টচুরির সঙ্গে যুক্ত। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থটা দেখে।”
এছাড়া, জয়গাঁওতে প্রচুর পাথর পড়ে আছে, কেন ভূমি দফতর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কেন দফতর চুপচাপ বসে আছে। আমি পরিস্কার বলেছিলাম, যত বালির জায়গা আছে, টেন্ডার করে দাও, যত পাথরের জায়গা আছে, টেন্ডার করে দাও। যত বেআইনি খনি রয়েছে, খনন কাজ বন্ধ করে দাও।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “কিছু দালাল আছে, তারা সমাজটা কে এসব করে শেষ করে দিতে চায়। নিজেদের দালালির ভাগ দিয়ে অন্যদের কাছে টানতে চায়।” এ ব্যাপারে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, “অভিযোগ ক্রশ চেক করে দেখো, ঠিক থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করো।”
তিনি দুর্নীতির প্রশ্নে আরও বলেন, ‘সিআইএসএফ টাকা খেলেও পুলিশের ধরার অধিকার আছে। কারণ, চুরি হলে তখন বলবে, কয়লা চুরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সিআইএসএফ আর পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে চুরি করবে, আমি এটা সহ্য করব না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*