রোজদিন ডেস্ক :- বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করলে জামিন খারিজ করে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক।
এর প্রেক্ষিতেই তীব্র ক্ষোভ জানাল নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের ঘটনার মধ্যে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ সরকারকে আমরা অনুরোধ করছি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করাও জরুরি।’
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় প্রভূকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনই জানায়নি পুলিশ। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যে জেলে চিন্ময় প্রভূর ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক সংগঠন বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তাঁর আহ্বানে লক্ষ লক্ষ সনাতনীদের জমায়েত হয়। সেই সভার পরই চিন্ময় প্রভূর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পতাকাকে অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন এক বিএনপি নেতা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকারকে আমরা অনুরোধ করছি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করাও জরুরি।’ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, ধর্মীয় স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাগুলি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মতো হিন্দু ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।
Be the first to comment