রোজদিন ডেস্ক :- বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে সংসদীয় রাজনীতিতে অভিষেক হল প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু আগেই মা সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে সোনালি রঙের পাড় দেওয়া সাদা কেরেলিয়ান কটন শাড়ি পরে সংসদে উপস্থিত হন। দাদা রাহুলকে অনুসরণ করেই হাতে সংবিধান নিয়ে শপথ নিলেন প্রিয়াঙ্কা।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটে দক্ষিণ ভারতের ওয়েনাড় ও উত্তর ভারতের রায়বরেলী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েন রাহুল গান্ধী। দুই আসনেই জয়ী হন তিনি। তবে সংসদীয় এলাকা হিসাবে উত্তর ভারতের রায়বরেলীকেই বেছে নেন রাহুল। ফলে ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন হয়। সেই উপনির্বাচনে দাদার জয়ের ব্যবধান টপকে ৪ লক্ষের বেশি ভোটে জেতেন প্রিয়াঙ্কা। এবার সংসদে উত্তর ভারতের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা যাবে দাদাকে, এবং দক্ষিণ ভারতের হয়ে গলা ফাটাবেন বোন।
উল্লেখ্য, ২০২৪-এ লোকসভা ভোটে লড়েননি সোনিয়া গান্ধী। রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবেই থাকতে চেয়েছেন। এবার তাঁর দুই সন্তানই লোকসভায় দেশের মানুষের হয়ে সওয়াল করবেন।
প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কার রক্তে রাজনীতি। রাজনীতির ছত্রছায়ায় বড় হওয়া। এর আগে একাধিক বার মা সোনিয়া, দাদা রাহুলের হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকী ১৯৮৯ সালে বাবা রাজীব গান্ধীর সঙ্গেও প্রচারে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অনেকেই মনে করেছিলেন, বাবার মৃত্যুর পর মেয়ে আসবেন সংসদীয় রাজনীতিতে কিন্তু, সেই প্রিয়াঙ্কা ৫২ বছর বয়সে প্রথমবার নির্বাচনী পরীক্ষায় বসলেন এবং ব্যাপক সাফল্য।
কংগ্রেস কর্মীরা প্রিয়াঙ্কার মধ্যে তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া দেখেন। অনেকেই বলেন, প্রিয়দর্শিনীর নাতনি শুধু চেহারাতেই ঠাকুমার মতো নন, তাঁরই মতো দৃঢ়চেতাও। রাজনীতির ময়দানে থাকলেও এই প্রথমবার প্রিয়াঙ্কাকে সংসদে দেখবে গোটা দেশ।
রাজনীতির কারবারিরাই বলছেন, ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি কিংবা রাজীব-কন্যা হিসাবে তাঁর সংসদে উপস্থিতি নিয়ে নিঃসন্দেহে আলাদা করে চর্চা হবে। তবে সব কিছুর পরও এ দিন থেকে রাজনীতিক হিসাবে নিজেকে প্রমাণের নতুন জার্নি শুরু হবে প্রিয়াঙ্কার।
Be the first to comment