ইতিহাস গড়ল ইসরো, শ্রীহরিকোটায় শততম উৎক্ষেপণ সফল

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস। বুধবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে শততম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে নজির গড়ল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। ৪৬ বছর আগে অর্থাৎ ১০ আগস্ট, ১৯৭৯ শ্রীহরিকোটা থেকে প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো।

দেশীয় ক্রায়োজেনিক্স প্রযুক্তিতে তৈরি ত্রিস্তরীয় রকেট জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (জিএসএলভি)-এফ ১৫ কক্ষপথে স্থাপন করে এনভিএস-০২-কে। সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ এই শততম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ হয়। এটি একটি উন্নত ন্যাভিগেশন উপগ্রহ। যা স্থলজ, আকাশ ও সামুদ্রিক ন্যাভিগেশন এবং নির্ভুল কৃষিতে সহায়তা করবে।
এটি ছিল ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণনের নেতৃত্বে প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপেণ। শততম সফল উৎক্ষেপণের পর ভি নারায়ণন বলেন, “২০২৫ সালে ইসরোর প্রথম উদ্যোগ সফল ঘোষণা করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। উপগ্রহটিকে প্রয়োজনীয় (জিটিও) কক্ষপথে সঠিকভাবে প্রবেশ করানো গিয়েছে। এটি শততম উৎক্ষেপণ, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকও।” এই মিশনে তথ্য এসেছে এবং সমস্ত যানবাহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ইসরো চেয়ারম্যান। এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ মে (জিএসএলভি)-এফ-১৫ উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো।
প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি ইসরোর চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর নেন এস সোমনাথ। তাঁর স্থানে দায়িত্ব নেন ভি নারায়ণন। ১৬ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এর আগে লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টারের ডিরেক্টর পদে ছিলেন নারায়ণন। ১৯৮৪ সালে ইসরোতে যোগ দেওয়া এই বিজ্ঞানীর রকেট ও মহাকাশযান পরিচালনায় ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। অন্ধকার ও মেঘলা আকাশের কারণে প্রায় ১৯ মিনিট পর সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে রকেটটি সফলভাবে তার পেলোড এনভিএস-০২ নেভিগেশন স্যাটেলাইটকে জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিট (জিটিও) থেকে আলাদা করে। ইসরো জানিয়েছে, এনভিএস-০২ স্যাটেলাইটের মূল লক্ষ্য হল স্থলজ, আকাশ এবং সামুদ্রিক নেভিগেশন, নির্ভুল কৃষি, মোবাইল ডিভাইসে অবস্থান ভিত্তিক পরিষেবা, উপগ্রহের কক্ষপথ নির্ধারণ, ইন্টারনেট-অফ-থিংস ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন নির্ধারণ করা। বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে ডিজাইন ও বিকশিত হওয়া এনভিএস-০২ স্যাটেলাইটটির ওজন প্রায় ২ হাজার কেজি। এল১, এল১৫ এবং এস ব্যান্ডের নেভিগেশন পেলোড রয়েছে এবং একটি ট্রাই-ব্যান্ড অ্যান্টেনা ব্যবহার করা হয়েছে। নেভিগেশন পেলোডের মূল হল রুবিডিয়াম অ্যাটমিক ফ্রিকোয়েন্সি স্ট্যান্ডার্ড, একটি পারমাণবিক ঘড়ি যা নেভিগেশন পেলোডের জন্য একটি স্থিতিশীল ফ্রিকোয়েন্সি রেফারেন্স হিসেবে কাজ করে। রেঞ্জিং পেলোডে একটি CxC ট্রান্সপন্ডার থাকে যা দ্বিমুখী সিডিএমএ রেঞ্জিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় যা সুনির্দিষ্ট কক্ষপথ নির্ধারণকে সহজতর করে বলে জানিয়েছে ইসরো। ভি নারায়ণন ইসরোর যাত্রাপথের বিবরণ দিয়ে, কিংবদন্তি বিক্রম সারাভাইয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত মহাকাশ অভিযানের কথা স্মরণ করেন। (এই প্রতিবেদনের জন্য সমস্ত তথ্য সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে সংগৃহীত)

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*