ক্লাসরুমের মধ্যেই অধ্যাপিকাকে সিঁদুর পরিয়ে মালাবদল করে বিয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের, তদন্তে নামল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:-প্রজেক্টের কাজ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের মধ্যেই বসল ‘বিয়ের আসর’। সিঁদুর পরানো থেকে মালাবদল, সাতপাকে ঘোরা থেকে শুরু করে শুভদৃষ্টি সবই হল। পাত্রী অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজির বিভাগীয় প্রধান। পাত্র তাঁরই প্রথম বর্ষের ছাত্র। যদিও এটিকে একটি প্রজেক্টের অংশ বলে দাবি করেছেন ওই অধ্যাপিকা।

নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে। সামনে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডের ছবি। যেখানে একে অপরকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে গ্রহণের অঙ্গীকার করেছেন বিভাগীয় প্রধান ও প্রথম বর্ষের ছাত্র। সাক্ষী হিসেবে তিনজনের সইও রয়েছে তাতে। এই ভাইরাল ভিডিও সামনে আসতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। (যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি রোজদিন)। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পরে যায় নেট দুনিয়ায় এরপরই ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও শিক্ষিকার দাবি, প্রজেক্টের অংশ হিসাবে ওই দৃশ্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কোন প্রজেক্টে এই ধরনের বিবাহের প্রস্তুতির ও ভিডিও ছবি ওঠে সেই প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নদিয়ার ওই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রযুক্তির শেখানো হয়ে থাকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজ্য জুড়ে আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের পোডিয়ামে উঠে এসেছেন ছাত্র এবং শিক্ষিকা দু’জনেই। সাক্ষীর উপস্থিতিতে একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন। গোটা বিষয়টির ভিডিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। যদিও ওই শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, তিনি যে বিভাগের প্রধান, বিয়ের আসরটি সেটিরই প্রজেক্টের অংশবিশেষ। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তদন্ত কমিটি বসে। ভাইরাল ভিডিও থেকে জানা গিয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি ক্লাসরুমের মধ্যেই বিয়ের আসরটি বসে। মালাবদল থেকে শুরু করে সিঁদুরদান সবই দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ক্লাসরুমের মধ্যেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিয়ের আসর ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই বিভাগীয় প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ওই পড়ুয়ার হদিশ মিলছে না। এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*