শ্রীনগরের করণনগরে সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলার দায় স্বীকার করল লস্কর-ই-তইবা। স্থানীয় এক সংবাদসংস্থাকে ফোন করে তারা হামলার দায় স্বীকার করে। জম্মুতে সিআরপিএফ-এর ২৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের উপর হামলার চেষ্টার মূলে তাদেরই হাত রয়েছে। এদিকে, লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে। সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ উদ্যোগে চলছে তল্লাশি অভিযান।
প্রসঙ্গত, শ্রীনগরের করণনগর এলাকার সিআরপিএফ ক্যাম্পে সোমবার হামলার উদ্দেশ্যে আসে জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় যদিও বানচাল হয় সেই চেষ্টা। পরে জঙ্গি ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন এক সিআরপিএফ জওয়ান। শহিদ জওয়ানের নাম এম এম খান। গুরুতর জখম হন আরও এক পুলিশকর্মী। এদিকে নিরাপত্তার কারণে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। করণনগরে দুই জঙ্গিকে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন এক নিরপত্তারক্ষী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুলি চালালে গা ঢাকা দেয় তারা। এরপর এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি। জানা যায়, জঙ্গিদের সঙ্গে রয়েছে ব্যাকপ্যাক ও একে ৪৭ রাইফেলস। সিআরপিএফ ক্যাম্পের কাছাকাছি একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছে তারা। পরে সেই ভবনটি ঘিরে ফেলা হয়। তখন নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। পালটা আঘাত আনেন জওয়ানরাও। গুলি বিনিময়ের সময়ের সময় শহিদ হন ওই জওয়ান। গুরুতর জখম হন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মী।
যদিও দুর্ভাগ্যবশত দুই জঙ্গি এখনও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এখনও গুলি বিনিময় চলছে সেখানে।
Be the first to comment