রাজকুমার ঘোষ-
বিশেষ মানুষটি কেমন জানা নেই, কলেজে ঢুকেই অন্যরকম বিশেষ কেউ খোঁজার তাগিদটা অনুভব করলাম। সৌভাগ্যবশতঃ কজন বান্ধবীও হল, পিঙ্কিকে দেখার পর বেশ অন্যরকম খুঁজে পেলাম… তার আগে রিমার সাথে কেমিস্ট্রিটা জমে উঠেছিল । সেক্ষেত্রে রিমার তাগিদটাই বেশি। ও আমার খুব ভালো বান্ধবী । ঝগড়া লেগেই থাকত, কোন একদিন ঝগড়ার পর ক্ষমা চাওয়াতেই জড়িয়ে ধরে ওর কান্না আর প্রেম নিবেদন, ‘না’ বলে ওর মন খারাপ করতে পারিনি। এদিকে পিঙ্কীর প্রতি আমার দূর্বার আকর্ষণ, প্রেম নিবেদন করতেই সেও সাড়া দেয়। কিন্তু একটা সময় আসে যখন সব হিসাব পালটে যায়। ফাইনাল পরীক্ষার আগে আমার পক্স হয়, বাইরে যাওয়া মানা। কারোর সাথে দেখা নেই। একদিন, বোধ হয় সেই দিনটা ভ্যালেনটাইন ডে ১৪ই ফেব্রুয়ারিই হবে, রিমা মাকে অনুরোধ করে ঘরে ঢুকতেই কি কান্না… রোগটি ছোঁয়াচে জেনেও বলল, প্রতিদিন আসবেই… । ও বেরিয়ে যেতে ঘরের একটি ক্যালেন্ডারে, যেখানে মাথায় সিঁদুর দেওয়া মহিলা…ভীষণ মায়া মেশানো মুখ… সেদিকে তাকাতেই অন্যরকম ভাবলাম, ওই মুখের মধ্যে শুধুই রিমাকে দেখতে পেলাম … বেশ হাসি নিয়ে মনে মনে বললাম, এই আমার ১০০% রাইট চয়েস… নিজের অজান্তেই মনে মনে ওকে নিয়ে অনেককিছু ভেবে ফেললাম, দুটো লাইন মনের মধ্যে বেঁধে ফেলে ঠিক করলাম রিমাকেই উৎসর্গ করবো, সেই লাইন দুটি বেশ কয়েকবার আওড়ালাম,
তোমায় চিনি, তোমায় জানি, বুঝিনি তোমার মন
অবুঝ এ মন বুঝতে সেদিন থাকবে সারাক্ষণ ।
Be the first to comment