Sky is the Limitation

Spread the love

আকাশ ছোঁয়ার অদম্য বাসনা, ডানা মেলে ওড়ার ইচ্ছে যাদের আছে তাদের জন্য অ্যাভিয়েশন অত্যন্ত ভালো পেশা। যাদের শারীরিক ফিটনেস আছে এবং যারা চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারাই এই পেশার যোগ্য। এই পেশায় মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাভিয়েশন বলতে আমরা শুধুই পাইলট বা এয়ারহোস্টেস বা গ্রাউন্ড স্টাফ বুঝি। কিন্তু এই পেশায় নানান ধরণের কাজ পাওয়া যেতে পারে। প্রথমত এয়ারলাইন্স অপারেশন – এই কাজগুলি করে থাকেন পাইলট, কো-পাইলট, কেবিন ক্রু। এই কেবিন ক্রুর মধ্যেই আছে এয়ারহোস্টেস (যারা যাত্রীদের স্বাগত জানায়, যারা টিকিট চেক করে, ফ্লাইটে ডিপারচার ও অ্যারাইভাল ঘোষণা করে, ফ্লাইটে যারা যাত্রীদের খাবার পরিবেশণ করেন)। অনেক পুরুষকেও দেখবেন এই কাজ করছেন। এদের বলা হয় পারসার ও ফ্লাইট এটেনডেন্ট। এঁরাও কেবিন ক্রুর মধ্যে পড়েন।

পাইলট –

আকাশে ফ্লাইট অপারেশনের মূল দায়িত্বে থাকেন একজন পাইলট। প্লেন ওড়ানোর দায়িত্বে থাকেন ক্যাপ্টেন বা চিফ পাইলট এবং তাঁকে সাহায্য করেন কো-পাইলট। এই পেশায় আসতে যারা উৎসাহী তাদের শারীরিক সুস্থতা ও চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকা প্রয়োজন। শ’খানেক মানুষকে নিয়ে আকাশে ওড়া বড় কম কথা নয়। সবসময় সতর্ক থাকতে হয় এবং প্রচন্ড মানসিক চাপের সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে ফিজিক্স ও অঙ্ক নিয়ে পড়তে হবে এই পেশায় আসতে গেলে। এই পাইলটের আবার দু ধরণের ভাগ আছে। এক মিলিটারি পাইলট। দুই, কমার্শিয়াল পাইলট।
মিলিটারি পাইলট হতে গেলে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সে যোগ দিতে হয়। যদি কমার্শিয়াল বা পেশাদার পাইলট হতে চাও তাহলে নিজের দেশে বা বাইরের দেশে যাত্রী ফ্লাইট চালাতে হবে। যে পাইলটই হতে চাও না কেন প্রথমে তোমাকে লাইসেন্স পেতে হবে, যা সাধারণত কোনো ফ্লাইং ক্লাব থেকে পাওয়া যায়। পাইলটের লাইসেন্স সাধারণত তিনটি ধাপে পাওয়া যায়। স্টুডেন্ট লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে অন্তত ১৬ বছর বয়সী হতে হবে। ফ্লাইং ক্লাব গুলি প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেয়। থিওরিও পড়তে হয় প্রচুর। যেমন, Air regulations, Aviation Meterology, Air Navigation and Air Technical. এর সঙ্গে Director General of Civil Aviation, Airforce Central Medical Establishment Subrata Park, New Delhi এবং Institute of Aviation Medicine, Bengaluru থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হবে। সবশেষে প্রার্থীকে Applitude Test দিতে হয়। এছাড়াও চাই ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি, সিকিওরিটি ক্লিয়ারেন্স। তারপর চলে আকাশপথে ১৫ ঘন্টা ধরে প্লেন চালাবার শিক্ষানবিশি। সব শেষে আছে থিওরি পরীক্ষা। মনে রাখতে হবে যাদের টাকা পয়সা নেই তাদের জন্য এ লাইন নয়।

কেবিন ক্রু-

কেবিন ক্রু হতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার H.S. পাস। ঝকঝকে চেহারা, ইংরেজী ও হিন্দিতে অনর্গল কথা বলার ক্ষমতা, সুব্যাক্তিত্ব, বয়েস ১৭-২৪ এর মধ্যে হতে হবে। আগে বিভিন্ন Air Company সরাসরি নিয়োগ করে ট্রেনিং নিত। এখন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই ধরনের চাকরির উপযোগী ছেলে মেয়ে তৈরী করার জন্য। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করেও অনেকে এই পেশায় আসে। ফ্লাইট স্টুয়ার্ট ও এয়ার হোস্টসদের চাকরিতে বেতন ও সুযোগ সুবিধা বেশ ভালো। এয়ার হোস্টেসদের ট্রেনিং দিয়ে থাকে এমন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। এরা নিয়মিত বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন।

যাঁরা মাটিতে কাজ করেন –

অসামরিক পরিবহন বা বিমান চলাচলকে কেন্দ্র করে বহু ধরণের কর্মী ও প্রযুক্তিবিদদের প্রয়োজন হয়। যেমন, একটি বিমানকে আকাশে ওড়ার উপযোগী করার জন্য দরকার হয় Aircraft Maintenance Engineer দের। এদের ছাড়পত্র ছাড়া কোনো বিমান আকাশে উড়তে পারে না। Aircraft Maintenance Engineering পড়ানো হয় বিভিন্ন অনুমোদিত ইনস্টিটিউট থেকে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট এর নাম –

ভারতবর্ষে পাইলটদের ট্রেনিং এর একমাত্র সরকারী ইনস্টিটিউট 

 

 

সৌজন্যেঃ ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*