আজ মালদায় জিএসএ স্টেডিয়ামে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই জেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষের কাছে সরকারী পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।গত বছর বন্যার সময় আমি মালদা জেলায় এসেছিলাম। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আমরা ১২০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। কেউ কেউ বলে এই চাই ঐ চাই কি করবো যা পারছি তাইতো করছি।
কেন্দ্রীয় সরকার আই সি ডি এস এর যে টাকা দিত তার ৯০% টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।রাজ্য আমাদের থেকে ট্যাক্স এর টাকা কেটে নিয়ে যায় আর সেই টাকা থেকে কিছু টাকা আমাদের দেয়। আমাদের অধিকারই আমাদের দিত, দয়া করত না।চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের চাকরির বয়স ৬০ বছর পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে – আর কোন রাজ্যে পাবেন না।স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সিভিক ভলেন্টিয়ার, হোম গার্ড, চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন কন্যাশ্রীর মেয়েদের ভাতা ৭৫০ টাকা থেকে বারিয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রীর আওতায় আনা হয়েছে।‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় ৫৭ লক্ষ SC/ST ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১ কোটিরও বেশি সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে।‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের আওতায় ৭০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন গরীব পরিবারের মেয়েদের বিবাহের জন্য ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আগামী ২০ মার্চ থেকে অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে।আমি চাই না বাবা মায়েরা চিন্তা করুক বা তাদের নিজেদের বোঝা ভাবুক। প্রত্যেকে যেন ভাবে তাদের মেয়েরা তাদের ঘরের লক্ষ্মী। আমি চাই মেয়েরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াক।কৃষকদের পেনশন ৭৫০ টাকা থেকে বারিয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। যাদের প্রতিবন্ধকতা ৫০% বা তার বেশি রয়েছে তাদের পেনশন দেওয়া হবে ‘মানবিক’ প্রকল্পের আওতায়।১ লক্ষ ৯৪ হাজার লোকশিল্পীকে প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তা দেয় রাজ্য সরকার।
(ছবি সংগৃহীত ফেসবুক)
Be the first to comment