ডেঙ্গু ও অজানা জ্বর নিয়ে আজ দুপুর তিনটে নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে হতে চলা এই বৈঠকে থাকবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব এবং অন্যান্য আধিকারিকরা…
হেল্থ মনিটরিং মিটিং শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, এই সময় অজানা জ্বর, সর্দি কাশি হয়। শরীর ভালো রাখার ব্যাপারে সজাগ থাকুন। বারাসত, দেগঙ্গার অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করলাম। দেগঙ্গায় ৪টি কেসে একটিও ডেঙ্গু নয়, বারাসতে ৫টি কেসের মধ্যে ১টি কেসের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। মৃত্যুর মিছিল নয়। অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। গুজরাটে সোয়াই ফ্লু-তে ৪৩০ জন, তামিলনাড়ুতে ৬৪২, মহারাষ্ট্রে ৪৩৭ জন মারা গিয়েছেন। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশেও বেশ কিছু লোক মারা গেছেন। বাংলাতে ১৪ জন মারা গেছেন। গত ৭-৮ মাসে রাজ্যে ২৬ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। আমরা মনে করি একজনেরও মৃত্যু খারাপ।
কিছু কিছু ল্যাব পাবলিসিটি পাওয়ার চেষ্টা করছে। ডেঙ্গুর জন্য এনএস ১ অ্যালাইজা, ম্যাক অ্যালাইজা টেস্ট করতে হয়। র্যাপিড টেস্ট করে ল্যাবগুলি ব্যবসায়িক স্বার্থে মানুষের পকেট কাটার চেষ্টা করছে। বাংলায় প্লেটলেট-এর অভাব নেই। যদি সেই ধরনের ডেঙ্গু হতো তাহলে প্লেটলেট ডিমান্ড বাড়ত। যে সমস্ত ল্যাবগুলি র্যাপিড টেস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পরবর্তীতে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলাশাসকদের এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি, পুণে এবং নিমহংস, ব্যাঙ্গালোরে স্যাম্পেল পাঠানো হচ্ছে। তাদের রিপোর্টে দেখে চিকিৎসা করায় সাফল্য মিলেছে। রাজ্যে ওদের সাপোর্টে নতুন কোলোবোরেশন ল্যাব করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে আহ্বান, ভালো ভাবে চিকিৎসা করুন। অজানা জ্বর বিষয়ে মনিটার করে ব্যবস্থা নিন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটা অপরাধ। কিন্তু নিজেদেরও সচেতন থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাসের কোনও জায়গা নেই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের মানুষকে সচেতন হতে হবে। জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। ডেঙ্গুর মশা মূলত কামড়ায় সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং বিকেল ৪টে থেকে ৬টার মধ্যে। এই সময় যাতে কোনওভাবে মশা যাতে না কামরায় সে ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। বাড়িতে কোথাও জল জমিয়ে রাখা চলবে না। ডেঙ্গু রিল্যাপ্স করে। তাই সুস্থ হয়ে ওঠার পরও নিজের যত্ন নিন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
Be the first to comment