হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বলিউডের প্রথম ফিমেল সুপারস্টার শ্রীদেবী। দুবাইয়ে আত্মীয় অভিনেতা মোহিত মারওয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই প্রয়াত হন শ্রীদেবী। তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন স্বামী বনি কাপুর ও ছোট মেয়ে খুশি। তবে সোমবার বিকেলে ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে বাথটবের জলে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি শরীরে মিলেছে অ্যালকোহলের উপস্থিতি। অন্যদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও জানা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি শ্রীদেবীর। তাঁর মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবেই। তবে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বলিউডের এই অভিনেত্রীর অকালমৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। গুজব ছড়াতে থাকে যে লিপ সার্জারির জেরে শ্রীদেবীকে এমন সমস্ত ওষুধ খেতে হত যার জেরে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, স্লিম ও সুন্দর থাকার জন্য শ্রীদেবী এমন কিছু ওষুধ খেত যার জেরে হার্টে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে৷ তবে চিকিৎসকেরা এই বিষয় মানতে নারাজ৷ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যে সমস্ত ওষুধ বা ড্রাগসের নাম ওয়েবসাইটগুলিতে লেখা হয়েছে তা থেকে কারোর হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ পাশাপাশি, শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে আরও কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে শ্রীদেবীর স্বামী বনি কপূর ফিরে এসেছিলেন মুম্বইয়ে। দু’দিন পরে তিনি সংযুক্ত আরব আমীরশাহীতে ফিরে যান। এই দু’দিন শ্রীদেবী হোটেলের ঘর থেকে বেরোননি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট ঘিরে প্রয়াত নায়িকার শারীরিক সুস্থতা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুরের বয়ান নিয়েছে দুবাই পুলিশ। তিনি যে হোটেলে ছিলেন, সেই ফ্লোরটি সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তবে সোমবার বিকেলে ফরেন্সিক ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর থেকেই জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নয় শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে বাথটবের জলে ডুবেই।
জানা গিয়েছে, সোমবার প্রাইভেট জেটে দুবাই থেকে মরদেহ মুম্বইয়ে আনা হবে কী না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ মুম্বইতেই হবে বলিউড সুপারস্টার শ্রীদেবীর শেষকৃত্য৷ প্রিয় তারকার অকাল প্রয়াণের খবরে সকাল থেকেই লোখন্ডওয়ালায় শ্রীদেবীর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন অগণিত ভক্ত৷ বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।
এই সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-
Be the first to comment