চলুন, দীপাবলির ছুটিতে কোথাও ঘুরে আসি

Spread the love

দীপাবলির ছুটি তো সামনেই। পুজোয় যাঁদের কোথাও বাইরে যাওয়া হয়নি, তাঁরা হয়ত অনেকেই প্ল্যান করে রেখেছেন এই সময়টা কোথাও ঘুরে আসার। আর যাঁরা এখনও ভাবেননি, তাঁরাও নিশ্চয় ভাবছেন, কাজের ব্যস্ততার মাঝে এই ছুটিতে কোথাও ঘুরে এলে ভালো হয়। কিন্তু ভাবলেই তো হয় না। কোথায় যাবেন সেই পরিকল্পনা নিশ্চয়ই করছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই কটা দিন কোথায় গিয়ে কাজের ব্যস্ততা ভুলে মনটাকে শুধুই ছুটির মেজাতে ভরিয়ে তোলা যায়।

গোয়া

প্রথমেই আসা যাক ভারতের পাটি হপারসদের ডেস্টিনেশন হিসেবে পরিচিত গোয়ার কথায়। যাঁরা সারা বছর একঘেয়ে কাজের মাঝে হাঁপিয়ে উঠেছেন, তাঁরা বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে এই সময়টা গোয়ায় ঘুরে আসতেই পারেন। সি বিচের উদ্যাম আনন্দ ও স্যাক পার্টির দেদার ফুর্তিই গোয়ার আসল মজা। সঙ্গে আছে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, ক্যাসিনো, নাইট ক্লাব ও স্পা ম্যাসাজের সুযোগ।

কীভাবে যাবেন : অমরাবতী এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে সরাসরি গোয়ার ভাস্কো দা গামা। বিমানেও কলকাতা থেকে গোয়ার ডাবলিম এয়ারপোর্ট।

থাকবেন  কোথায় : গোয়ায় অজস্র হোটেল রয়েছে। রয়েছে গেস্ট হাউসও। পাশাপাশি হোম স্টে-র সুবিধাও রয়েছে। খরচ জনপ্রতি আনুমানিক ২০ হাজার টাকা।

উদয়পুর

স্ত্রী বা বান্ধবীকে নিয়ে রোমান্স-এর সেরা ডেস্টিনেশন হলো উদয়পুর। সিটি অব লেকস এবং ভেনিস অব ইস্ট নামে পরিচিত রাজস্থানের উদয়পুরে সিটি প্যালেসের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, জগমন্দির, মনসুন প্যালেস, সহেলিও কি বারি, বাগোরি কি হাভেলি, গঙ্গোয়ার ঘাট, নেহরু গার্ডেন, মহারানা প্রতাপ স্মারক, আমব্রাই ঘাট দেখার সেরা জায়গা। সঙ্গে রাজস্থানের স্পেশাল থালি তো থাকেই। এ ছাড়াও বাপু বাজার ও ভাট্টিয়ানি ছোরাহার মতো জায়গায় শপিং খুবই আকর্ষণীয়।

কীভাবে যাবেন : অনন্যা এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে উদয়পুর বা সাপ্তাহিক শালিমার উদয়পুর সিটি এক্সপ্রেস। বিমানে কলকাতা থেকে উদয়পুর। কোথায় থাকবেন : উদয়পুরে প্রচুর হোটেল আছে। পকেটের রেস্তো ভালো হলে প্যালেসেও থাকতে পারেন। খরচ আনুমানিক ২০ হাজার টাকা।

মানালি

হিমাচলপ্রদেশের মানালিতে প্রকৃতি যেন তার সব রূপ নিয়ে হাজির। বরফে ঘেরা পাহাড়ের কোল বেয়ে যাওয়া বিপাশা নদী ও ঝরনার মেলবন্ধন দেখে সত্যিই মনটা জুড়িয়ে যায়। এখানকার দশর্নীয় স্থানগুলি হলো— সোলাং ভ্যালি, হিরিম্বা দেবীর মন্দির, মানালি ক্লাব হাউস, যোগিনী ফলস, বন বিহার প্রভৃতি। এখান থেকে বিশ্ববিখ্যাত রোটাং পাস-এর দূরত্ব মাত্র ৫১ কিলোমিটার।

কীভাবে যাবেন : হাওড়া থেকে কালকা মেলে কালকা গিয়ে সেখান থেকে বাস বা গাড়িতে করে মানালি। বিমানে যেতে হলে কলকাতা থেকে চণ্ডীগড়ের ফ্লাইট, সেখান থেকে গাড়িতে করে মানালি। কোথায় থাকবেন : মানালিতেও অনেক হোটেল আছে বাজেটের মধ্যে। খরচ জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*