চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
আমাদের সাংবাদিকতা জীবনের প্রথম দিকে দেখেছি লড়াকু চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্যকে। তখন করতেন মহিলা কংগ্রেস। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আইনজীবি হওয়ায় বিধানসভার ফ্লোরে বাক পটুতায় সবসময় হারিয়ে দেয় বিপক্ষের বক্তাদের। যা বলেন তা যুক্তি দিয়ে বলেন এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন। শুধু তাই নয় অত্যন্ত পরিশ্রমী ও দক্ষ প্রশাসক তিনি। ডেডিকেশন, ডিটারমিনেশন, ডিভোশন, ডিসিপ্লিন, বিউটিফুলনেস এই পাঁচগুনের সমাহার তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শুধু পছন্দই করেন না তার ওপর ভরসা করেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন বারবার। এছাড়া রাজ্যের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর দায়িত্ব রয়েছে তাঁর হাতে। মহিলাদের তিনি এই বলে উদ্বুদ্ধ করেন এই বলে যে, “when there are no ceilings, the sky is the limit. So let’s keep going”।
৮ই মার্চের তাৎপর্য্য কি জিজ্ঞেস করাতে চন্দ্রিমা বললেন, নারীর ক্ষমতায়নের বিশেষ তাৎপর্য্য এই দিনটি। প্রতিদিন ৮ই মার্চ উৎযাপন করা উচিত। আর এই দিনটিতে অঙ্গীকার করা দরকার, শপথ নেওয়ার দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করে তিনি বলেন, সকল মা-বোনেদের কাছে আমাদের অঙ্গীকার “যাতে তাদের বছরের প্রতিটি দিন হয়ে ওঠে আনন্দময়”। আসলে মেয়েদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন না হলে নারী ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। গত ৭ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রকল্প মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। কন্যাশ্রী ১,২,৩, সবুজ সাথী, অধুনা করা রূপশ্রী, এছাড়া শিশু জন্মানোর সময় দেওয়া হয় মূল্যবান গাছের চারা, সবুজশ্রী প্রকল্পের নাম, যার উপযোগিতা অনেক। শিশুসাথী প্রকল্প ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। ছোট শিশুরা হৃৎ-জনিত জটিল রোগে আক্রান্ত হলে বিভিন্ন হসপিটাল অথবা নার্সিংহোমে তাদের সুচিকিৎসা দেওয়া হয়। আমাদের এখানে মেয়েরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদর্শ করে জীবনের পথে পা বাড়ান। অজস্র সেলফ হেল্প গ্রুপ তৈরী করে গ্রামীন মহিলাদের যুক্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বই, জুতো, জামা সবকিছুই ফ্রিতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন যার ফলে স্কুল ছুটের সংখ্যা কমছে। আমরা শুধু ৮ই মার্চ নয় প্রতিদিনই শপথ নিই মহিলাদের উন্নয়নের। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে অধিকার রক্ষা করার চেষ্টা করি। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মেয়েদের উন্নয়নে বা ক্ষমতায়নে অত্যন্ত জরুরী। তবে একথা বলতে পারি মহিলাদের মাথা নীচু না করে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় “চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির’। এই ভাবনাকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
Be the first to comment