দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্ম: ১১ মার্চ, ১৮৪০ – মৃত্যু: ১৯ জানুয়ারি, ১৯২৬)
তিনি ছিলেন বিশিষ্ট বাঙালি কবি, সংগীতকার, দার্শনিক ও গণিতজ্ঞ। তিনি বাংলা সংকেত লিপি (শর্ট হ্যান্ড) ও স্বরলিপি রচনার অন্যতম অগ্রপথিক ছিলেন।পারিবারিক পরিচয়ে তিনি ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।
বাংলা সাহিত্যে তাঁর প্রথম অবদান ছিল ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষায় রচিত কালিদাসের মেঘদূত কাব্যের বঙ্গানুবাদ।
তাঁর দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ স্বপ্নপ্রয়াণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৭৫ সালে।
ভ্রাতৃভাব (১৮৬৩), তত্ত্ববিদ্যা (১৮৬৬-৬৮), সোনার কাঠি রূপার কাঠি (১৮৮৫), সোনায় সোহাগা (১৮৮৫), আর্যামি এবং সাহেবিয়ানা (১৮৯০), সামাজিক রোগের কবিরাজি চিকিৎসা (১৮৯১), অদ্বৈত মতের সমালোচনা (১৮৯৬), ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মসাধনা (১৯০০), বঙ্গের রঙ্গভূমি (১৯০৭), হারামণির অন্বেষণ (১৯০৮), গীতাপাঠের ভূমিকা (১৯১৫) এবং প্রবন্ধমালা (১৯২০) ইত্যাদি তাঁর সৃষ্টি। এছাড়াও ইংরেজিতে তিনি বক্সোমেট্রি (বাক্সমিতি) (১৯১৩), অন্টোলজি (১৮৭১) ইত্যাদি রচনা করেন।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
=================================================================================
বিজয় স্যামুয়েল হাজারে
জন্ম: ১১ মার্চ, ১৯১৫ – মৃত্যু: ১৮ ডিসেম্বর, ২০০৪
তিনি মহারাষ্ট্র জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।
ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে ১৪ টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন। ভারতের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির প্রায় বিশ বছর পর ২৫তম টেস্টে দলের প্রথম বিজয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর টেস্ট রেকর্ড বেশ সমৃদ্ধ ছিল। ৩০ টেস্টে ৪৭.৬৫ গড়ে ৭ সেঞ্চুরি সহযোগে ২,১৯২ রান করেন।
ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবার অল্প কিছুদিন পর ভারতের টেস্ট দল নির্বাচক হন। তাঁর নামানুসারে ভারতের আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিজয় হাজারে ট্রফি নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। জসু প্যাটেলের সাথে তাঁকেও যৌথভাবে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয়।
রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তথ্য সংগ্রহেঃ মাসানুর রহমান
Be the first to comment