রাজকুমার ঘোষ-
ইংল্যান্ডের মাটিতে বসবে আগামী ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। প্রতিবারই অর্থাৎ ১৯৭৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সমস্ত বিশ্বকাপের আসরেই টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির সাথে অ্যাসোসিয়েট দেশগুলিও বিশ্বকাপে যোগদান করে আসছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে টেস্ট খেলিয়ে ১০টি দেশের সাথে আরো ৪টি দেশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু আগামী ২০১৯ বিশ্বকাপে এই নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে মোট ১০টি দল অংশগ্রহন করবে। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড তাদের টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। আইসিসির র্যাঙ্কিং অনুযায়ী প্রথম ১২টি দলের মধ্যে সবকটা দেশই আছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে নিয়ম অনুযায়ী আইসিসি র্যাঙ্কিং-এ থাকা প্রথম ৮টি দেশ সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে। যার মধ্যে উদ্যোক্তা দল ইংল্যান্ড ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে। বাকি দুটি স্থানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলা সেরা কোন দুটি দল হয় সেটা দেখার। দুর্ভাগ্যবশত র্যাঙ্কিং-এ ৯ নম্বরে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবারের বিশ্বকাপের অংশগ্রহন করার জন্য জিম্বাবোয়েতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলতে হচ্ছে। গ্রুপ এ তে তারা সব কটা ম্যাচ জিতে সুপার সিক্সে জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়াও এই গ্রুপ থেকে আয়ারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সুপার সিক্স-এ স্থান করে নিয়েছে। গ্রুপ বি তে জিম্বাবোয়ে এবং স্কটল্যান্ড এই দুইটি দল সুপারসিক্স এ সহজেই জায়গা নিশ্চিত করেছে কিন্তু এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দল আফগানিস্তান প্রথম তিনটি ম্যাচ হেরে বিপাকে পড়ে যায়। তারা যথাক্রমে স্কটল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে এবং হংকং-এর কাছে পরাজিত হয়। শেষ ম্যাচ তারা নেপালের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। তারপরও তারা সুপারসিক্সে পৌঁছায় হংকং-কে নেপাল পরাজিত করায়। নেট রান রেট-এর বিচারে গ্রুপের তিন নম্বর দল হিসাবে সুপারসিক্স এ যায় আফগানরা। এরপর তাদের খেলতে হবে আরও তিনটি ম্যাচ, যার মধ্যে একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং আফগানিস্তানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মূল পর্বে যাবেই ধরে নেওয়া যায়। এবারে বাকিদের সরিয়ে ফেভারিট আফগানরা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
Be the first to comment