মঙ্গলবার দশ জনপথে ২১টি বিরোধী দলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। তবে নৈশভোজে হাজির ছিলেন ডিএমকে, এসপি, বিএসপি, আরজেডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ ১৯টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই যে, এদিন সোনিয়ার ডাকা নৈশভোজে উপস্থিত থাকলেও, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও নিজের মতো করে মোদী বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, এআইইউডিএফের বদ্দরাউদ্দিন আজমল, এনসিপির শরদ পাওয়ার, আরজেডির তেজস্বী যাদব, মিসা ভারতী, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, জেএমএমের হেমন্ত সোরেন, আরএলডির অরিজিৎ সিং, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিম, ডিএমকের কানিমোঝি, আইইউএমএলের কুট্টি, বিএসপির সতীশ চন্দ্র মিশ্র, কেরালা কংগ্রেস, জেভিএমের বাবুলাল মাদান্দি, ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির শরদ যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চার জিতেন রাম মাঝি, জেডিএসের ডঃ কুপেন্দর রেড্ডি। এছাড়াও ছিলেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, ডঃ মনমোহন সিং, গুলাম নবি আজাদ, মল্লি কার্জুন খার্গে, আহমেদ প্যাটেল, একে অ্যান্টনি, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
মঙ্গলবার তৃণমূল থেকে থেকে শুরু করে শরদ পওয়ারের এনসিপি, উত্তরে মায়াবতী-অখিলেশ থেকে শুরু করে দক্ষিণে করুণানিধির ডিএমকে-কে বিজেপির বিরুদ্ধে একত্রিত করতে চাইছে কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই এদিনের নৈশভোজ। উল্লেখ্য, সোনিয়ার ডাকে নৈশভোজে তৃণমূলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিল সিপিএমও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের প্রতিনিধি মহম্মদ সেলিম। সূত্রের খবর, নৈশভোজের ফাঁকে সুদীপের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন সোনিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ নেন তিনি। বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে চান সোনিয়া গান্ধী। এদিনের নৈশভোজে যোগ দেন লালু-পুত্র তেজস্বীও।
নৈশভোজের পরই টুইটারে রাহুল গান্ধী লেখেন, সোনিয়া গান্ধীর আয়োজনে একটা দারুন নৈশভোজ। আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সাক্ষাতের এটা একটা বিরাট সুযোগ।
Be the first to comment