একই দিনে দুজন নাবালিকার বিবাহ রোধে চাইল্ড হেল্প লাইন ও ডালসা

Spread the love

সুভাষ মজুমদার –
মাত্র সাড়ে তেরো বছর বয়সে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে। চাইল্ড হেল্প লাইন এবং ডালসা (হুগলি) কাছে মুচলেকা দিলো তারকেশ্বর গার্লস স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্রী প্রিয়া দাস।
তারকেশ্বর নতুন গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় দাস পেশায় দিনমজুর, তিনটি সন্তান, বড় মেয়ে প্রিয়া দাস। তারকেশ্বর জয় কৃষ্ণবাজারের বাসিন্দা সোমনাথ দাসের সাথে বিয়ে হয় প্রিয়া দাসের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চাইল্ড হেল্প লাইন ও হুগলি ডালসা তারকেশ্বর থানার সহযোগিতা নিয়ে হানা দেয় প্রিয়া দাসের বাড়ি। অবশেষে ভুল বুঝতে পেরে মুচলেকা দেয় যে আঠারো বছর বয়স না হলে বিবাহ করবোনা। প্রিয়া দাসের মাও প্রতিশ্রুতি দেন মেয়ের আঠারো বছর বয়স না হলে বিয়ে দেবেন না। এই নিয়ে চলতি মাসের হুগলিতে প্রায় উনিশটি নাবালিকার বিবাহ বন্ধ করলো চাইল্ড হেল্প লাইন ও হুগলি ডালসা। শ্বশুরর বাড়ি থেকে নাবালিকা বধূকে উদ্ধার করে হোমে পাঠালো চাইল্ড হেল্প লাইন। একই দিনে দুজন নাবালিকার বিবাহ রোধে চাইল্ড হেল্প লাইন ও ডালসা। সকালে তারকেশ্বরের নতুন গ্রামের প্রিয়া দাস । বিকালে তারকেশ্বরের আঁকরগুড়িয়া গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে মধুমিতা মালিককে উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হলো। মধুমিতার বাড়ি আরামবাগের তিরোল গ্রামে, বাবা সমীর মালিক পেশায় দিন মজুর। তারকেশ্বরের আঁকরগুড়িয়া গ্রামের সম্রাট দোলুই এর সাথে বিয়ে হয় গত দশ দিন আগে। আজ তারকেশ্বরের আঁকরগুড়িয়া গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে উত্তর পাড়ার হোমে পাঠানো হয়।

 

 

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*