শারীরিকভাবে হয়তো তারা পিছিয়ে, তবে মনের দিক থেকে ১০০ শতাংশ এগিয়ে তারাই

Spread the love

হোক না তারা শারীরিক প্রতিবন্ধী কিংবা মুক বধির। তাই বলে কি তারা সমাজে পিছিয়ে থাকবে। হয়তো না। শারীরিক ভাবে পিছিয়ে থাকলে কি হবে, তারা যে মনের দিক থেকে ১০০ শতাংশ এগিয়ে। তাই তাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করতে গত ৩ বছর ধরে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মধ্যে Youth 4 Job- নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা বিনামূল্যে নানান ট্রেনিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন অফিস কিংবা কোম্পানীতে চাকরী করার সুযোগ করে আসছে। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য, শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েরা, নিজেদের কাজ করার ক্ষমতা থাকলেও যাতে সমাজে কোনোভাবে অবহেলিত না হয়। তারা যে পারে সাধারণ জীবন যাপন করে বেঁচে থাকতে, নিজেরা কারোর উপর নির্ভর না করে নিজেদের যোগ্যতায় জীবনে জীবিকা পালন করতে। তার প্রমাণ করাই হল এই সংস্থার মূল লক্ষ্য। শুধু মুখে নয় কাজে করেও দেখিয়েছে এই সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই মুখ-বধির থেকে শুরু করে প্রতিবন্ধীরা কেএফসি, বিগবাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় চাকরী করছেন, একেবারেই নিজেদের যোগ্যতায়। তবে এদের পেছনে আছে এই সংস্থাটি। যারা চাকরী পেতে ক্লাস থেকে সব ধরনের ট্রেনিং-এর মাধ্যমে এদের তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানী থেকে অফিসে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। এদিন এই সংস্থার ম্যানেজার শমিক বসু বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য সমাজকে বুঝিয়ে দেওয়া, যে শারীরিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েরাও পারে নিজেদের যোগ্যতায় কাজ করতে, সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে।” সংস্থার ইন্টারপ্রেটার আলকা যোশী বলেন, “আমি মনে করি কাউকে সমাজে অবহেলিত করা উচিৎ নয়। সবার মধ্যেই লুকিয়ে আছে নানান প্রতিভা। শুধু তাদের একটা সুযোগ দরকার। আমাদের সংস্থা সেই সুযোগ করার ব্যবস্থা করে মাত্র। তার জন্য বিনামূল্যে ট্রেনিং থেকে ক্লাস আমরা সব ব্যবস্থা করি। আমরা চাই সমাজে তারা প্রতিষ্ঠিত হোক।
এখানে বলা ভাল বিখ্যাত অ্যামেরিকান লেখক হেলেন কেলারের কথা। যিনি অন্ধ হলেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে ইচ্ছে থাকলে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে কিভাবে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়। হেলেন কেলার প্রথম যিনি অন্ধ হয়েও ব্যাচেলার ওফ আর্টস ডিগ্রী পেয়েছিলেন।

রিপোর্টার – রফিকুল জামাদার

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*