দলিত বিক্ষোভের আগুনে জ্বলেছে উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব ভারতের একাংশ। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগে পাঁচটি রাজ্য থেকে আটক করা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারীদের। আর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের আইন পর্যালোচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মোদী সরকার। তাদের বিরুদ্ধে হিংসা রুখতে আইন লঘু করার যে রায় দিয়েছে কেন্দ্র, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালো মোদী সরকার। আর সেই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তফসিলি জাতি এবং উপজাতির আইনের বিরুদ্ধে কোনও রায় দেওয়া হয়নি। যাতে নির্দোষরা অকারণে শাস্তি না পায়, সেকারণেই আইনে সামান্য বদল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘ওপেন কোর্ট’-এ হয় রিভিউ পিটিশনের শুনানি৷ রিভিউ পিটিশনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যারা প্রতিবাদে সরব হয়েছেন; তারা হয়তো সঠিকভাবে আইনে এই নয়া পরিবর্তনের বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহল নন। সুপ্রিম কোর্ট দলিত আইনের বিরুদ্ধে নয়৷ দলিত আইন কার্যকরের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। দলিত আইন নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয় বলেও এদিন জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু এসসি/এসটি প্রোটেকশন আইনের অপব্যবহার করে সরকারি কর্মীদের মিথ্যে মামলার জালে ফাঁসানো হচ্ছে। সেই কারণে এই আইনে অভিযোগ হলেই তৎক্ষণাৎ গ্রেফতারি বা ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে না। যাতে নির্দোষরা অকারণে শাস্তি না পায়৷ তাই এই নতুন রায় বলবৎ করে সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু এই নতুন নিয়ম জারি করলে দলিতদের উপরে অত্যাচার বাড়বে। এই কারণেই দলিত সংগঠনগুলি প্রতিবাদে সরব হয়। এমনকী, সোমবার তারা ভারত বন্ধের ডাকও দেয়৷ ঘটনায় এখনও অবধি ৯ জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে নামানো হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশও।
Be the first to comment