গত সপ্তাহে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে প্রাথমিক মত বিনিময় সেরে ফেলেছেন বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে আবার চলতি সপ্তাহেই তাঁর চেন্নাই যাওয়ার সূচি নির্ধারিত থাকলেও তা বাতিল করেছেন। তবে তাঁর এই সফর বাতিল যে কোনো প্রভাব ফেলবে না অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রের এনডিএ-র জোটসঙ্গী চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে সমঝোতার ক্ষেত্রে, তা স্পষ্ট করে দিলেন স্বয়ং টিডিপি প্রধান।
চন্দ্রবাবু মোদীর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ধংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, এমন সব গুরুতর অভিযোগ তিনি প্রকাশ্যেই করে থাকেন। গত বুধবার নয়াদিল্লিতে চন্দ্রবাবু মোদীকে আদতে একজন বিশ্বাসঘাতক বলেছেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ওই দিন তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কে সি বেণুগোপাল, সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব এবং তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
চন্দ্রবাবু নাইডু বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে মমতার ভূমিকাকে আগে রেখে জানান, “এ কথা নতুন করে বলার নয় যে, মমতা একজন বড়ো মাপের নেত্রী।। তাঁর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে। ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটে যে আমরা শরিক হতে চলেছি, তা প্রায় নিশ্চিত।”
Be the first to comment