বিশেষ প্রতিনিধি,
অবশেষে কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় জামিন পেলেন টাইগার। গত ৪৮ ঘন্টা যোধপুরের সেন্ট্রাল জেলে কাটানোর পর শনিবার দুপুরে সলমানের জামিন মঞ্জুর করে যোধপুর দায়রা আদালত।
প্রসঙ্গত, দু’দশক আগে ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যয়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে রত্রিবেলা মৃগয়ায় বেড়িয়েছিলেন সিনেমার হিরো-হিরোইনরা। সলমান খানের সঙ্গী ছিলেন সইফ আলি খান, সোনালী বেন্দ্রে, তব্বু ও নীলম। অভিযোগ সেই রাতেই দুটি কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করেন সলমান। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই নিয়ে মামলা চলে আদালতে।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার যোধপুরের দায়রা আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সলমান খানকে এবং ৫ বছরের কারাদন্ডের শাস্তি দেন। যদিও বাকি ৪ অভিনেতা-অভিনেত্রী বেকসুর খালাস পেয়ে যান এই মামলা থেকে। সাজা ঘোষণার পরই সল্লু মিঞার স্থান হয়েছিলো যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে। জেলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ১০৬ নম্বর এই সুপারস্টার অভিনেতাকে বাকি বন্দীদের মতো শুতে হয়েছিলো মেঝেতেই। রাতের রুটি, চানা ডাল, বাঁধাকপির তরকারী বা ভোরবেলার চিঁড়ে-গুড়ের প্রাতরাশ কোনওটাই মুখে কাটেন নি সল্লু।
এদিকে বৃহস্পতিবারের রায়ের পর শুক্রবারই সলমান খানের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানান যোধপুর দায়রা আদালতে। দিনভর দু’পক্ষের আইনজীবীদের শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। বলেছিলেন, এই মামলায় সলমান খানের যাবতীয় ট্রাক রেকর্ড জমা দিতে আদালতকে। সেইমতো শনিবার সকাল ১১ টায় ভাইজানের আইনজীবীরা যাবতীয় নথি সমেত হাজির হন আদালতে। বেলা ৩ টের সময় অবশেষে সলমানের জামিন মঞ্জুর করলেন বিচারক রবীন্দ্র জোশী। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয়। পাশাপাশি আদালতের অনুমতি না নিয়ে বিদেশযাত্রাও মানা সল্লু মিঞার। আগামী ৭ মে পরবর্তী শুনানির দিনে আদালতে সলমান খানকে হাজিরা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জামিন পেয়ে গেলেও তার ৫ বছরের শাস্তি এখনও বহাল রয়েছে। যোধপুর দায়রা আদালতের এই শাস্তির রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবারই যোধপুর হাইকোর্টে আবেদন করতে চলেছেন সলমান খান।
Be the first to comment